Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেতনের দাবিতে মার্কিন কর্মীদের মিছিল

জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার অধিকার আমার রয়েছে : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:১১ এএম, ১২ জানুয়ারি, ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন বন্ধের দাবিতে মিছিল করেছেন দেশটির সরকারি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার শাটডাউন ২০তম দিনে ‘আমাদের বেতন চাই’ শ্লেøাগান দিয়ে হোয়াইট হাউস অভিমুখে মিছিল করেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দ অনুমোদনের প্রশ্নে ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের সমঝোতা না হওয়ায় ২০ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে চলছে আংশিক শাটডাউন। তারপরও দেয়াল নির্মাণের প্রশ্নে অনড় অবস্থানে রয়েছেন ট্রাম্প। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ (প্রতিনিধি পরিষদ) এখন ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে। স¤প্রতি প্রতিনিধি পরিষদ একটি বাজেট বিল পাস করলেও তাতে মেক্সিকো সীমান্তের জন্য তহবিল বরাদ্দ রাখা হয়নি। শাটডাউনের কারণে দেশটির ৮ লাখ সরকারি কর্মীকে ঘরে থাকতে কিংবা বেতন ছাড়া কাজ করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৬০০ পেনিসেলভেনিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীরা শাটডাউন বন্ধের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘ট্রাম্প: শাটডাউন বন্ধ করুন’ ‘অবরোধ নয়, কাজ চাই আমরা। পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার বিজ্ঞানী ইলাইনি সুরাইনো বলেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তাকে অবসরে যেতে হবে। তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে প্রশাসন সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর এর প্রভাব বোঝেন না। নাহলে এমনটা করতেন না। শান্তি কর্পোরেশনের কর্মী ম্যাথিউ ক্রিচটন বলেন, শাটডাউন কতদিন চলবে তার নিশ্চয়তা না থাকায় তারা কোনও খাবারসহ অন্যান্য কোনও পরিকল্পনা করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘এটা একদিনও হতে পারে কিংবা এক সপ্তাহ। এটা খুবই লজ্জার যে আমি কাজ করতে সক্ষম কিন্তু করতে পারছি না।’ আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই সবুজ পোশাক পরা ছিলো এবং ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘আমি কর্মী, আমি কথা বলতে চাই।’ এছাড়া পাম বিচ, ফ্লোরিডা ও নিউ ইয়র্কেও এমন আন্দোলনের খবর পাওয়া গেছে। তবে হোয়াইট হাউসের সামনে আন্দোলনের সময় ট্রাম্প সেখানে ছিলেন না। সেসময় ট্রাম্পও মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে জরুরি অবস্থা জারির হুমকিও দেন তিনি। তিনি বলেন, আমার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার অধিকার রয়েছে। বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সীমান্তের টেক্সাস অংশ পরিদর্শনে গিয়ে এ হুমকি দেন। মেক্সিকো দেয়াল নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ২২ ডিসেম্বর থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অসংখ্য বিভাগ ও সংস্থায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। ২০ দিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না লাখ লাখ মার্কিনি। প্রায় ৮ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা বেতন ছাড়াই আছেন। দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলে ট্রাম্প কোনো অর্থবিলে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছেন, এবং তাই করছেন তিনি। ফলে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের ব্যয় নির্বাহে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের বিল আলোর মুখ দেখেনি। আর এতেই বিপাকে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন। জরুরি অবস্থা জারি করেই এই অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। জরুরি অবস্থা জারি হলে কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্যরা এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামতে পারবেন। যে লড়াইয়ে সহজেই জিতে যাবেন বলে ধারণা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অচলাবস্থা নিরসনে বুধবার ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু সেই বৈঠক ওয়াক-আউট করেন তিনি। হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী এবং সিনেট সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করার ব্যাপারে আগের অবস্থানে অটল থাকলে ট্রাম্প আলোচনা থেকে বেড় হয়ে আসেন। হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী বলেছেন, বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারাটা একই সঙ্গে আরেকটা ক্ষতি। প্রেসিডেন্ট মনে হচ্ছে তাদের প্রতি অসংবেদনশীল হচ্ছেন। তিনি (ট্রাম্প) হয়তবা মনে করছেন তারা তাদের বাবার কাছে অর্থ চাচ্ছেন। চাক শুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পেলোসী যখন দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিতে রাজি হননি তখনি প্রেসিডেন্ট আলোচনার মাঝখানে উঠে চলে যান। সিএনএন, রয়টার্স, বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিছিল

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ