নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দারুণ খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট করছিলেন। মুশফিকুর রহিমকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই খেই হারালেন তিনি। কাইল জার্ভিসের রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (৩৬)। এর আগে মুশফিকের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।
শেষ খবর পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনও ভরসা হয়ে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবল ১৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। শূন্য রান নিয়ে তার নতুন সঙ্গী আরিফুল হক।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১১১ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শূন্য রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। প্রথম ইনিংসে চারশ, সাড়ে চারশ ছাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন তারা। তাদের অসাধারণ নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গতিতে সেই পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। কোনো উইকেট না দিয়ে প্রথম সেশনে ৬২ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর হঠাৎই কক্ষচ্যুত হন মাহমুদউল্লাহ।
উইকেটশূন্য সেশনে বড় একটা ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন দারুণ বোলিং করা টেন্ডাই চাতারা। টানা পঞ্চম ওভার করছিলেন তিনি। কিন্তু ওভার শেষ করতে পারেননি। তৃতীয় বল করার পর বাম পায়ের পেশিতে টান পান। স্ট্রেচারে দ্রুত মাঠের বাইরে নেয়া হয়। ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ওভারের বাকি চার বল করেন ডোনাল্ড তিরিপানো।
রোরবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেয় স্বাগতিকরা। শুরুতে এখানেও সিলেট টেস্টের ভূত ভর করে টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাঁধে। দলীয় ২৬ রানের মধ্যে ফিরে যান ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিথুন।
সেখান থেকে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধ। পরের গল্পটা শুধুই তাদের। একের পর এক মাইলফলক, রেকর্ড, কীর্তি। দুঃসময়ের জাল ছিন্ন করে দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে দলকে এনে দেন সোনাঝরা এক দিন। ২৬৬ রানের রেকর্ডভাঙা জুটিতে দলকে পথ দেখান তারা।
শেষ বিকালে আক্ষেপ হয়ে থাকে মুমিনুল ও তাইজুলের উইকেট। তারা না ফিরলে দিনটি আরও উৎসবমুখর হতে পারত। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি (১৬১) তুলে ফিরে যান মুমিনুল। ৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন মুশফিক।
জিম্বাবুয়ের হয়ে কাইল জার্ভিস নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন টেন্ডাই চাতারা ও ডোনাল্ড তিরিপানো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।