পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বর্তমানে সারা দেশে মাদকের বিস্তার ঘটেছে, যা সংগত কারণেই হয়ে দাঁড়িয়েছে অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ। দেশের বিভিন্ন বয়সী মানুষ, বিশেষ করে কিশোর, তরুণ ও যুবকদের মধ্যে মাদকাসক্তির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মাদকাসক্তরা পরিবার ও সমাজে নানা রকম অশান্তি-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। মাদককে ঘিরে সমাজে বাড়ছে নানা রকম অপরাধ। হুমকির মুখে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন। মাদক এখন নানা অপরাধের প্রধান নিয়ামক। তারুণ্য যেকোনো দেশের প্রধান শক্তি। তারুণ্য যদি এভাবে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়, তাহলে এ দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে? গণমাধ্যমে জানা যাচ্ছে, ইয়াবার চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে অজ্ঞাত নন বোধ করি। এর পরও কেন ওই পথে ইয়াবার অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না? মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানগুলোতে দেখা যাচ্ছে, চুনোপুঁটিরাই ধরা পড়ছে, মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সীমান্ত নজরদারি আরো কঠোর করার পাশাপাশি মাদকের মূল হোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক অসৎ সদস্য এ কাজে জড়িত থাকে এবং সহায়তা করে থাকে। তাদেরও কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা নেশা গ্রহণ করে তাদের যেন আটক করে কারাগারে না পাঠানো হয় বা কারাদণ্ড না দেওয়া হয়। কারণ তারা এক ধরনের নেশাগ্রস্ত রোগী। তাদের অবরুদ্ধ বিশেষ কোনো সেবালয়ে কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
মো. নাসরুল ইসলাম
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।