নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চাপের মধ্যে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ নামডাক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বরাবরই চাপ নিতে ভালোবাসেন। সামনে কোনও চ্যালেঞ্জ থাকলেই তার মধ্যে জেগে উঠে দেখিয়ে দেওয়ার তাড়না। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোটে আরও একটি সিরিজে অধিনায়কত্ব করার আগে বললেন, দায়িত্বই নাড়িয়ে দেয় তাকে।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব পান সাকিব। কিন্তু চোটে পড়ে ওই সিরিজেই খেলতে পারেননি তিনি। দুই ফরম্যাটেই তাই অধিনায়কত্ব করতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। নিদহাস কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে ফেরেন সাকিব। টেস্ট অধিনায়কত্বে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই। তারপর আবার পড়েছে ছেদ। চোটে বাইরে থাকা সাকিবের জায়গায় জিম্বাবুয়ে সিরিজেও দায়িত্ব মাহমুদউল্লাহর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিরতি সিরিজেও থাকবে তাই।
মূল অধিনায়কের চেয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কেই বেশি টানতে হচ্ছে দলের ভার। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কথায় বারবার ঘুরেফিরে আসল এই অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গই। দায়িত্ব যে তার কাছে জেগে উঠার মন্ত্র ফের মনে করিয়ে দিলেন তা, ‘অধিনায়কত্ব সবসময় আমাকে ভালভাবে নাড়া দেয়। আগেই বলেছি এই দায়িত্বটা আমি সবসময় উপভোগ করার চেষ্টা করি। দলের সবাই কমবেশি সাহায্য করে। এখন ভাল খেলার অপেক্ষায় আছি। ’
এমনিতে যেমন তেমন। কিন্তু অধিনায়কত্ব পেলে মাঠে বদলে যায় মাহমুদউল্লাহর শরীরী ভাষা। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রাইম ব্যাংক বা খুলনা টাইটান্সের অধিনায়কত্বের ঝলক দেখা গেছে অনেকবার। মাহমুদউল্লাহ ভেবে দেখেছেন অধিনায়কত্ব ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তার খেলাতেও, ‘এটা ঠিক যে অধিনায়কত্ব আমাকে খেলায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেয়, প্রভাবিত করে এবং বাড়তি দায়িত্ব এনে দেয় যে আমি যেন আমার সেরাটা দলের জন্য দিতে পারি। এ দায়িত্বটা আসলে উপভোগ করি এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এটা আমার খেলায়ও সাহায্য করে।’
আগের দিন সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি মর্তুজার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছিলেন কোচ স্টিভ রোডস। দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ে এই কোচ দেখা পাচ্ছেন তৃতীয় অধিনায়কের। মাহমুদউল্লাহ কেমন অধিনায়ক তা দেখা বাকি কোচের, মাহমুদউল্লাহ নিজে অবশ্য তার ধরণ প্রকাশ করতে দ্বিধা করলেন না, ‘আমি সবসময় খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিডম দিলেই যে যার জায়গা থেকে পারফর্ম করার সুযোগটা বেশি থাকে। অনেক সময় অধিনায়কত্বটা গাট ফিলিংয়ের উপর নির্ভর করে। কিন্তু অনেক সময় গাট ফিলিং কাজে নাও লাগতে পারে। আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারও রয়েছে।’
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পান বলে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গেছে। তবে জাতীয় লিগের চলতি মৌসুমে এই মাঠের উইকেট ছিল পুরোপুরি স্পিন বান্ধব। স্পিনে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও যে তাই থাকবে তা অনুমিতই।
অধিনায়কের কথাতেও তা পরিষ্কার, ‘আজ (গতকাল) সকালে উইকেট দেখেছি। আগামীকাল সকালেও দেখব। কিছুটা শুষ্ক আছে এই মুহূর্তে। মাঝে কিছু ঘাস রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা খুব একটা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা দুই পেসার, দুই স্পিনার বা তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়েও খেলতে পারি। এখনও নিশ্চিত না, কাল উইকেট দেখে নিশ্চিত হব।’
সাকিব আল হাসান না থাকায় ওয়ানডের মতো টেস্ট একাদশ করার ক্ষেত্রেও কিছুটা ট্রিকি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। একজন বাড়তি বোলার নাকি একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান। কোনটা খেলিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় সাকিবের অভাব? অধিনায়ক পরিষ্কার করে দিলেন, যাইহোক দল প্রথম টেস্টে অন্তত পরীক্ষা নিরীক্ষায় যাচ্ছে না দল, ‘প্রথম ম্যাচে হয়তো আমরা তেমন পরীক্ষা নিরীক্ষা নাও করতে পারি। আমরা সেরা একাদশ নিয়েই খেলব। কারণ প্রথম ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি যে ফরম্যাটই হোক, প্রথম ম্যাচটি সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে আমাদের শুরুটা যখন ভাল হয় আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি। তো সেরা একাদশটিই খেলার সুযোগ পাবে এবং আশা করি সবাই সেই সুযোগের অপেক্ষাতেই আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।