Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতির জীবনে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার গুরুত্ব

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন গত সোমবার শেষ হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে কবিতা করে বলেছেন ‘আবার আসিব ফিরে এই সংসদে।’ তাঁর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন-অনেক মেগা প্রকল্প তিনি হাতে নিয়েছিলেন, সেগুলো শেষ করতে তাঁর আরও সময় দরকার। প্রকারান্তরে তিনি তাঁর প্রকল্পগুলো শেষ করতে আরেকবার জনগণের কাছে সমর্থন চাইলেন। চাইলেন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে জনগণের সমর্থন তথা ভোট।
সংবাদপত্র পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি যে সকল দলের অংশ গ্রহণে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন তা নয়। সকল রাজনৈতিক দলের কথা দূরে থাক, দেশের যে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, যে দল অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে তিন তিন বার বিজয়ী হয়ে দেশ শাসনের সুযোগ লাভ করে, সেই বিএনপির বয়কটকৃত একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন তিনি।
তিনি যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশ শাসনের সুযোগ লাভ করেছিলেন সেটি ছিল একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। কেন, সে নির্বাচন সম্বন্ধে এমনটা বলতে হচ্ছে তার একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। পাকিস্তান আমলে দেশ পরিচালনায় দেশের সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের অতিরিক্ত প্রভাব থাকায় কখনোও গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারেনি। এ কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গণতন্ত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দু:খের বিষয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেবল মাত্র একটি সরকারী দল রেখে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়। পরবর্তীকালে কিছু দু:খজনক ঘটনার মধ্যদিয়ে বহু দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠিত হলেও এক পর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সে সময় সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে ঐ সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বসে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এ অকল্পনীয় ঘটনা সম্ভবপর হয়েছিল সম্ভবত : এই বিবেচনায় যে, সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি
সংবাদপত্রের পাঠকমহলের স্মরণ থাকার কথা, এরপর শুরু হয় জেনারেল এরশাদের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পালা। পাশাপাশি চলে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ প্রথম দিকে অনেক দিন এসব আন্দোলন থেকে দূরে সরে থাকলেও পরে এক পর্যায়ে এ আন্দোলনে যোগ দেয়। কিন্তু ততদিনে রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত নবাগতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে একটানা নেতৃত্ব দিয়ে দেশে আপোষহীন নেত্রী হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায় পরবর্তী নির্বাচনে। এদিকে দেশে দীর্ঘদিন ধরে এরশাদের একটানা স্বৈরশাসনে জনগণ ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে উঠায় দেশে পুনরায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে একমত হয়। এই নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সে উদ্দেশ্যে দুই দল এ ব্যাপারেও একমত হয় যে, ঐ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে।
যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে এর মধ্যে কেউ যেন আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে। ভোট গণনা শেষে যখন দেখা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিএনপি, শেখ হাসিনা অবলীলাক্রমে বলে বসলেন, নির্বাচনে সু² কারচুপি হয়েছে! কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউ তাঁর এই স্ববিরোধী বক্তব্যে গুরুত্ব না দেয়ায় স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হল। শেখ হাসিনা হলেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান মন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হয়ে এলে এবং নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন উঠলে প্রধানত শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে এই নিধান রেখে সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয়। বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই যে গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে সব চাইতে উপযোগী তা বাস্তবে প্রমাণিত হয়। এই ব্যবস্থা মতে দেশে বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে পালাক্রমে দুই প্রধান দল জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে।
কিন্তু কিছু রাজনীতিকের অতিরিক্ত ক্ষমতাক্ষুধা এক পর্যায়ে এই সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও পচিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়ায় সে ঘোষণা অতীতের দুই প্রধান দলের মধ্যকার সমঝোতার সুস্পষ্ট লংঘন এ অভিযোগ এনে বিএনপি যে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দান করে। দেশের দুই প্রধান দলের একটি কর্তৃক নির্বাচন বর্জিত হলে সে নির্বাচনের গুরুত্ব অনেকটাই হারিয়ে যায়। জনগণও সে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রাহ অনেকটাই হারিয়ে ফেলে।
আমাদের দেশে ভোটের দিনে সাধারণত যেখানে অন্যান্য কাজ ফেলে প্রথমেই ভোটের লাইনে দাঁড়াতে অভ্যস্ত, সেখানে ভোটের জন্য নির্দিষ্ট সময়েও ভোটকেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা জনশূন্য। বিরোধী দল তো দূরের কথা, শাসকদলের অনেক নেতাকর্মীও ভোট দানের উদ্দেশ্যে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার তেমন গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তারা ভোট কেন্দ্রে না গেলেও তাদের ভোট দানের ব্যবস্থা ঠিকই করা হবে দলের পক্ষ থেকে।
কার্যত হয়ও সেটাই। বিরোধী দলের অনুপস্থিতির সুযোগে শাসকদের অল্পসংখ্যক নেতাকর্মীই শাসকদলের প্রার্থীদের ব্যালটপত্রে ইচ্ছামত সীল মেরে তাদের বিপুল ভোটে ‘বিজয়ী’ হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন, যদিও ভোট দানের নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ছিল ফাঁকা, জনশূন্য। পরদিন বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সচিত্র প্রতিবেদন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একারণে জনগণ এ নির্বাচনের নাম দেয় ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’। বর্তমান সরকার এই ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই ফসল।
দশম সংসদের শেষ দিন প্রধান মন্ত্রী শেষ দিন যে কবিতার ভাষায় আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন আবার আসিব ফিরে এই সংসদে, সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি একাদশ সংসদেও তিনি দশম সংসদের মত ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে আশা করেন কিনা। তবে দশম সংসদে তাঁর এক ভাষণ থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তার মধ্যে এতটুকু লজ্জা বা অসম্মানবোধ নেই। ঐ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় এক হিসাবে ভালই হয়েছে। সংসদে তাদের আবোল তাবোল সমালোচনা শুনতে হচ্ছে না।
বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যকে যারা আবোল তাবোল সমালোচনা বলে তুচ্ছ তাছিল্য করতে পারেন তারা আদৌ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কিনা এ প্রশ্ন উঠবে অনিবার্যভাবে। কারণ গণতন্ত্রে বিরোধী মতামতকে তুচ্ছ তাছিল্যে না করে যথাযথ মর্যাদা দেয়ার গুরুত্ব অত্যধিক। এর কারণ মানুষ সাধারণত নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারে না। নিজের ভুল নিজে বুঝতে না পারায় তারা তাদের ভুল নিয়েই সারা জীবন কাটিয়ে দিতে বাধ্য হয়। গণতন্ত্রে মানুষ অন্য মানুষের সমালোচনার সাহায্যে নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং নিজেকে সেসব ভুল থেকে মুক্ত ও সংশোধন করে তোলার সুযোগ লাভ করে। এখানেই মানুষের জীবনে গণতন্ত্রের গুরুত্ব।
আরেক হিসাবেও গণতন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ সাধারণত স্বাধীনচেতা। ব্যক্তি জীবনে গণতন্ত্রের যে গুরুত্ব জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব তার চাইতে একটুও কম নয়। অন্য দিক দিয়ে বলতে গেলে একটি জাতির জীবনে স্বাধীনতার যে গুরুত্ব, একজন মানুষের জীবনে গণতন্ত্রের মূল্য তার চাইতে একটুও কম নয়।
আসলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা একটা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের শামিল। জাতিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে তার জন্য স্বাধীনতা যেমন অপরিহার্য তেমনি একটি মানুষকে সমৃদ্ধ করে তুলতে তার জন্য গণতন্ত্র তেমনি অপরিহার্য। একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে তার জন্য ব্যক্তি স্বাধীনতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি একটি মানুষকে সমৃদ্ধ করে তুলতে তার ব্যক্তি স্বাধীনতা তথা গণতান্ত্রিক অধিকার জোরদার করে তুলতে হয় অপরিহার্যভাবে।
এ বাস্তবতা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে মানুষ জন্মগ্রহণ একাকী। পরবর্তীকালে তার মাতা পিতা, পরিবার ও সমাজের অন্যদের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে তাকে বেড়ে উঠতে হয়। পরিবার, সমাজ ও বিশ্ববাসীর জন্য তার যে অবদান তার যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে। সে কারণে তার ব্যক্তিজীবনের গুরুত্ব কোনভাবেই অবহেলাযোগ্য নয়।
এই কারণে দেখা যায় যে জাতির মধ্যে মানুষের শৈশব, কিশোর ও তরুণ্য যত অধিক গুরুত্ব লাভ করে সে জাতির মধ্যে সমাজ ও বিশ্ব পর্যায়ে নেতৃত্ব দানের উপযোগী লোক অধিক জন্মায়। অপর পক্ষে যে জাতির মধ্যে মানুষের শৈশব, কৈশোবও তারুণ্য যথাযোগ্য গুরুত্ব লাভ করে না তাদের মধ্যে বিশ্ব নেতৃত্ব দানের উপযোগী লোকের জন্ম হয় কম। বাস্তবতার নিরিখেই মানব জীবনের এ গুরুত্বের কথা আমাদের সক্রিয় বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে।
বাস্তবতার নিরিখে আমরা যদি আমাদের মধ্যে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা এ দুটি বিষয়ে চর্চার কথা চিন্তা করি আমরা দেখব, এ দু’টি দিকেই আমরা বহু উন্নত জাতির পিছনে পড়ে রয়েছি। যতদিন পর্যন্ত আমরা এ দু’টি বিষয়ে আরও সচেতন হতে না পারব এবং অধিকতর সচেতনভাবে সাধনার পথে চলতে না পারব ততদিন আমাদের জাতির কার্যকর উন্নতি সাধন ও প্রয়োজনীয় সমৃদ্ধি লাভ সম্ভব হবে না। কারণ জাতির প্রকৃত উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য এ দু’টি যথাযথ গুরুত্ব দানের কোন বিকল্প নেই, হতে পারে না।
আর একটি প্রসঙ্গে সংক্ষেপে আলোকপাত করেই আজকের এ লেখার ইতিটানতে চাই। স্বাধীনতা বলি, আর গণতন্ত্র বলি এ দুটি বিষয়ই জোরদার করে তুলতে আমাদের ব্যক্তি জীবনে যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুতি রাখতে হবে। কারণ জাতির স্বাধীনতা বলি, আর দেশে গণতন্ত্রের কথা বলি, এ দুটিকেই জোরদার করে তুলতে আমাদের ব্যক্তি জীবনে পর্যাপ্ত ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
জাতিকে সব দিক দিয়ে সমৃদ্ধ করে তুলতে আমাদের ব্যক্তি জীবনে ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির জন্য ত্যাগ করে কেউ ছোট হয় না, ক্ষুদ্র হয় না।
বাংলাদেশের এক কবি যেমন বলেছেন,
স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায়, দাসত্ব শৃংখল বল কে পরিবে পায় হে
কে পরিবে পায়?
তেমনি আরেক কবি বলেছেন,
পরের কারণে মরণেও সুখ ...
এসব মূল্যবান উক্তিকে অবহেলা করলে আমাদের মনুষ্য জীবনী অর্থহীন হয়ে যায়। অথচ আমাদের মধ্যে এই ত্যাগ স্বীকারই অত্যন্ত কম, যা দু:খজনক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন