Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ইসলামের সোনালি যুগের অন্তরালে নিহিত রয়েছে রাসূলের প্রেম

তরিক্বত কনফারেন্সে প্রিন্সিপাল ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ্

| প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ইসলামের সোনালী যুগের অন্তরালে নিহিত রয়েছে প্রিয় রাসুলের প্রেম। এই রাসুল প্রেমের সোনালী ডানায় ভর করে হযরত কাগতিয়ার মরহুম পীর সাহেব পাড়ি দিয়েছেন খোদায়ী প্রেমের অনন্ত দিগন্ত। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে ঐতিহাসিক তরিক্বত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া দরবারের পীর আল্লামা প্রিন্সিপাল শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যুগে যুগে যেসব নবী প্রেমিক স্মরণীয় তাদের মাঝে উজ্জ্বল কাগতিয়ার মরহুম পীর সাহেব। নিজের যাবতীয় সবকিছু নবীর ঘর কাগতিয়া মাদরাসায় দান করার অছিয়তের মাধ্যমে যে ইতিহাস রচনা করেছেন তা যুগ যুগ স্মরণীয় বরণীয় অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। কাগতিয়া দরবার কমপ্লেক্স ময়দানে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের নবীপ্রেমিক মুসলমান সমবেত হন।
ছাত্র ও যুব সমাজের উদ্দেশে প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্র ও যুবকদের জন্য মরহুম পীর সাহেবের তরিক্বত ও দর্শনে রয়েছে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে পরিশীলিত জীবনযাপনে উন্নত নৈতিকতা সম্পন্ন আল্লাহ ও নবীপ্রেমিক হওয়ার দিকনির্দেশনা, দেশপ্রেমে নিবেদিত হওয়ার প্রেরণা। এর মাধ্যমে বদলানো যাবে নিজেকে, বদলে যাবে পুরো সমাজ, প্রতিষ্ঠা পাবে সামাজিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন-এর মহাসচিব ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, চবি গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জালাল আহমদ, এলবিয়ন গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ নেজাম উদ্দীন, মদিনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ, কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহেদ ইকবাল বাবু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকার ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছে। এক্ষেত্রে মাদক, সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত যুব সমাজ গঠনে তরিক্বতের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের উজ্জীবিত করছে কাগতিয়া দরবার ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। আলোকিত সমাজ গঠনে এ দরবার ও সংগঠনের ভূমিকা সকলের নজর কেড়েছে এবং বেশ সমাদৃত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবুল মনছুর বলেন, হতাশাগ্রস্ত ও পথভ্রষ্ট যুবকদের আলোর পথ প্রদর্শনে আধ্যাত্মিক অগ্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন কাগতিয়ার পীর সাহেব ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী। দেশ ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও হাজারো যুবক তাঁর আলোতে আলোকিত হচ্ছে।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, সুশৃঙ্খল আধ্যাত্মিক সংগঠন হিসেবে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির সুনাম আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, বহির্বিশ্বেও এর সুখ্যাতি ও কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে।
আল্লামা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী ইসলাম, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহেদ ইকবাল বাবু বলেন, হযরত গাউছুল আজমের পথ অনুসরণ করে ইসলামের খেদমতে সুন্নাতে মোস্তফার প্রচার-প্রসারে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে কাগতিয়া দরবার।
বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম হানফি, আল্লা­মা মুফতি আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, আল্লামা মোহাম্মদ আশেকুর রহমান, আল্লাামা এমদাদুল হক মুনিরী, আল্লামা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী ও আল্লামা মুহাম্মদ ফোরকান।
কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলে দলে গাড়িযোগে কাগতিয়ার ভক্ত ও সাধারণ মুসলমান কনফারেন্সস্থলে আসতে থাকে। চট্টগ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন জেলা এবং বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও কাগতিয়ার অনুসারীরা আসেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আলোকসজ্জিত করা হয় এবং চট্টগ্রামের প্রায় সকল প্রবেশমুখে ও বিভিন্ন উপজেলায় উত্তোলন করা হয় তোরণ। মাগরিবের আগেই কনফারেন্সস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
কনফারেন্সে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমিয়াতুল মোদার্রেছীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ