পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ধর্মীয় ও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকারকে সকল ধরণের সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। গত মঙ্গলবার রাতে দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের বৃহত্তর পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে করণীয় শীর্ষক কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের ভার্চুয়াল সভা থেকে এ আস্বাস প্রদান করা হয়। সম্প্রতি কুমিল্লায় পুজা মন্ডপে পবিত্র গ্রন্থ কুরআন রাখাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী অস্থিরতা বিরাজ করছে। এমন সময় আলেম ওলামাদের সরকারে পাশে দাড়ানো উচিৎ বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের কেন্দ্রিয় মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোতাজীর সঞ্চালনায় আয়োজিত এ ভার্চুয়াল সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মের নামে উগ্রতা কিংবা অরাজকতা ইসলাম কোনটিকেই সমর্থন করে না। রাসূল (স.) এর জীবনাদর্শ ও পবিত্র কুরআনের বানী বিশ্লেষন করলে এমন কোন নজির পাওয়া যাবে না। কিছু নামধারী উশৃঙ্খল ধার্মিক অতিউৎসাহি হয়ে দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করছে। প্রকৃত ধার্মিক সে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান যে ধর্মেরই হোক না কেন, সে কখনই এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বসবাস করে আসছি। কিছু স্বার্থান্বেষি ও বিপথগামী মানুষের অজ্ঞতার কারণে আজ আমাদের মাঝে বিপর্যয় নেমে আসছে। আমরা আশাকরছি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ইতিপূর্বে যেমনিভাবে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বুদ্ধিদীপ্ত ভুমিকা রেখেছেন, ঠিক তেমনি দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে দেশ ও জাতীর কল্যাণে অগ্রণী দায়ীত্ব পালন করবেন। একই সাথে ধর্মিয় অনুভুতিতে আঘাত হানে এমন কর্মকান্ডে যে বা যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবে তদন্তের দোহাই দিয়ে কাল বিলম্ব না করে অতিদ্রুত সময়ে তাঁদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য নেতৃবৃন্দ সরকারে প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারী উদ্যোগে প্রতি জেলায় সকল ধর্মের নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে সভা সেমিনার করে তাঁদের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, চার্চসহ যত ধরণের ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে সেসব যায়গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। দেশের শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং জনগণের কল্যাণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকে অবগত করতে হবে। প্রয়োজনে এসকল কর্মসূচীতে সরকারকে পূর্বের ন্যায় জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ, মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে। এসময় ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহসভাপতি উপাধ্যক্ষ (অব.) নূরুল ইসলাম (যশোর), যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম এম মাহবুবুর রহমান (চাঁদপুর), যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলান আ ন ম হাদিউজ্জামান (রংপুর), যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা মোকাদ্দসুল ইসলাম (রাজশাহী), যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রব (বরিশাল), সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা ইদ্রিছ খাঁন (ময়মনসিংহ), সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইউসুফ মৃধা (ফরিদপুর), সহকারী মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম (ভোলা), মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক (দিনাজপুর), শিক্ষা ও সাংস্কিৃতিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুছালেহ মোঃ কুতুবুল আলম (সিলেট), প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাতেন (নেত্রকোণা), শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই বারী (বগুড়া), ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবু রাফে মোঃ ফেরদৌস (মাদারীপুর), কেন্দ্রিয় সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ (নারায়নগঞ্জ) প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।