Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের দুই নেতাকে ছাত্রলীগের মারধর

ঢাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:১২ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই নেতা ৷ আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের যাত্রী ছাউনির কাছে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করা হয় ৷

মারধরের শিকার দুজনই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। একজনের নাম আতাউল্লাহ ও অন্যজন রাতুল সরকার ৷

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন জানান, 'কর্মসূচি শেষে আমরা চলে আসছিলাম ৷ আমরা চারজন মিলন চত্বরের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার ও তুহিন ফারাবী৷ ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে আতাউল্লাহ'র ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন৷ আমাদের আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাতুল সরকারকেও তারা মারধর করে৷ তবে আতাউল্লাহকে বেশি মারধর করা হয়েছে৷ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তারা মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছে৷'

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের ভাষ্য থেকে তিন হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে ৷ ছাত্রলীগের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সোলাইমান হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফি৷ এদের মধ্যে আলী রিমন ও জাকিউর রাফিদ নাফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী৷

সনজিত চন্দ্র দাস জানান, 'আজকে আমাদের প্রোগ্রাম ছিল৷ তারা কখন মারধর করল! আমি এখনো এ বিষয়ে কিছু জানি না৷ খোঁজ নিচ্ছি৷'

মারধরের বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের মতো একটা যৌক্তিক ইস্যুতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা মারধরের শিকার হলাম ৷ জানি না, ছাত্রলীগ এ ধরনের আচরণের মাধ্যমে কী বোঝাতে চায় ৷ তারা হয়তো প্রশাসনকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে চায়৷'



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মারধর

৬ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ