নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বয়স মাত্র ১৭। এই বয়সেই কেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ নজর তার দিকে তা আবারো প্রমাণ করেছেন চট্টগ্রামের অফস্পিনার নাঈম হাসান। ডানহাতের স্পিন ভেল্কিতে একাই ঢাকা বিভাগের আট উইকেট তুলে নিয়েছেন এই বিষ্ময় বালক।
২০তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনে ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাকি বোলাররাও। নাঈম ছাড়াও পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার সোহাগ গাজী। চার ম্যাচে কোন ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭১ রান তুষার ইমরানের।
কক্সবাজারে নাঈমের ঘুর্ণীতে ২৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর সূর্য পশ্চিম দিগন্তে হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে ওঠেন নাঈম। দিনের শেষ ওভারে তুলে নেন ঢাকার শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আগেও। তবে ১০৬ রানে ৮ উইকেটের ফিগারটি নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা। তার তোপেই ২৩২ রানে ৮ উইকেট হারায় ঢাকা। নবম উইকেটে অনিক-শাহাদাত জুটি যোগ করে মূল্যবান ৫৬ রান। অথচ ৮২ রানের জুটিতে ঢাকার শুরুটা ছিল দারুণ। ভালো শুরু করেও ইনিংসটাকে টেনে লম্বা করতে পারেননি সাইফ হাসান ও নাজমুল হাসান মিলন। আব্দুল মাজিদ (৭২) ও শুভাগত হোম (৫৭) আউট হয়েছেন ফিফটি ইনিংস খেলে।
রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৯২ রান তুলে কোনমতে দিন শেষ করে সিলেট। ব্যাট হাতে কার্যকরী ছিলেন প্রায় সবাই কিন্তু লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। ৮৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তাই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইমতিয়াজ হোসেনের দল। ফিফটি ইনিংস আসে শাহনাজ আহমেদ, জাকির হাসান ও শাহানুর রহমানের ব্যাট থেকে। মেট্রোর হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কাজি অনিক, আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ আশরাফুল।
রংপুরে প্রথম স্তরের ম্যাচে বোলারদের তোপে প্রথম দিনেই স্বাগতিকদের ১৪৭ রানে গুটিয়ে নিজেরাও ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় বরিশাল। দিনের মধ্যভাগেও রংপুরের হাতে ছিল ৮ উইকেট। এরপরই জ্বলে ওঠেন সোহাগ গাজী। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২১তম বারের মত পূর্ণ করেন ইনিংসে পাঁচ উইকেটের কোটা। রংপুরের ইনিংসে ফিফটি নেই একটিও, সর্বোচ্চ ৪৬ রান রাকিন আহমেদের। জবাবে ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় বরিশাল।
প্রথম দিনে কিছুটা ব্যাটিং দৃড়তার পরিচয় দিয়েছে খুলনা। এবং তাতে সবচেয়ে বড় অবদান সেই তুষার ইমরানেরই। এদিনও হাটছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু শেষ বিকেলে বোল্ড হয়ে যান সানজামুল ইসলামের স্পিনে। এর আগে ১২৭ বলে ৯ চারে করেন ৭১ রান। দিনের সর্বোচ্চ স্কোরও এটি। ফিফটি ইনিংস খেলেন এনামুল হক, সৌম্য সরকারও। বাকিরাও ছোট কিন্তু কার্য়করী ইনিংস খেলে অবদান রাখেন। ৭ উইকেটে ২৮১ রান তুলে দিন শেষ করে খুলনা। অবশ্য খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে এদিন খেলা ৯ ওভার কম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।