নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিরো থেকে হিরো! নাঈম শেখ এখন ঠিক তাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম আনঅফেসিয়াল ওয়ানডে ম্যাচে আউট হইয়েছিলেন শূন্যে। সেই ম্যাচে ভংগুর ছিল গোটা বাংলাদেশ দলই। বাজে ভাবে হারতে হয় ৮০ রানে অলআউট হবার পর। সেই সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামেই পরশু রাতে দ্বিতীয় ৫০ ওভারের ম্যাচে দেখা মিলল ভিন্ন টাইগারদের। নাঈমের শতক ও সাব্বির রহমানের সময়পোযোগি অর্ধশতকে ২৭৭ রানের বিশাল পুঁজি পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এরপর মুকিদুলদের অগ্নিঝড়া বোলিংয়ের সামনে স্বাগতিক দলকে থামতে হয় ২৩৩ রানে। সিরিজে সমতা ফিরল টাইগারদের ৪৪ রানের এই জয়ে। বলা হয় ‘এ’ দলের ফলাফলের চেয়েও ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সের উপর বেশি চোখ থাকে ম্যানেজমেন্টের। সেক্ষেত্রে এ যাত্রায় লেটার মার্কস পেয়েছেন নাঈম, সাব্বির ও মুকিদুল। একজন বাড়তি পেসার সহ মিঠুন আলীর দল এদিন ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। প্রথম ম্যাচের থেকে পাওয়া শিক্ষা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে বধ করে স্বাগতিকদের।
টসে জিতে স্বাগতিক অধিনায়ক জশুয়া দ্য সিলভা আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠান মিঠুনের দলকে। একই মাঠ হলেও এদিনের পিচ ছিল ভিন্ন। তাই এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের পেসারদের গতি বা বাউন্স বেশ স্বাচ্ছ্যন্দ্যের সাথে সামলেছেন সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। যদিও কাটা পড়েন দলীয় ১৪ রানের সময়। পা না নাড়িয়ে, সেই বিলাসী শট খেলতে গিয়েই। আরেক প্রান্তে ছন্দে থাকা নাঈম সেখান থেকে সাইফকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মিঠুনের সাথে তার জুটি ৭ রানের জন্য তিন অংক ছুঁতে পারেনি। যদিও ৫৮ স্ট্রাইক রেটে ২৮ রান করা কাপ্তান কেবল সঙ্গীই ছিলেন সেখানে। সাইফ আর মিঠুন ফেরেন অফ স্পিনার ব্রায়ান চার্লসকে একইভাবে সুইপ করতে গিয়ে। ৪২ রানে প্রাণ পাওয়া নাঈম পঞ্চাশের দেখা পান ৫৩ বলে, আর শতক আসে ১১২ বলে। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ শতকটির পথে এই বাঁহাতি মেরেছেন ১৪টি চার ও স্টেডিয়ামের বাহিরে আছড়ে পড়া এক বিশাল ছয়। তিনি সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন মাথার উপর ব্যাটকে হেলিকপ্টারের পাখার মতন ঘুরিয়ে। এরপরেই অবশ্য অয়ান্ডারসন ফিলিপের বলে গ্রেভসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ব্যাটারকে। মাহমুদুল জয়ের পরিবর্তে দলে আসা শাহাদাত দিপুকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন সাব্বির। প্রথমদিকে বড় শট না খেলে দৌড়ে রান নেওয়াতে বেশি মনযোগ দেন সাব্বির। দিপু ফিরে গেলে কিপার জাকের আলিকে নিয়ে ৩০ বলে ৪৩ রানের জুটি করেন সাব্বির। হার্ড হিটার হিসেবে খ্যাত এই ব্যাটার ৫৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে যখন ৬২ করে ফেরেন ততক্ষণে বিশাল জুটি পেয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ফিলিপ, চার্লস ও শেমরন লুইস সমান ২ জন করে ব্যাটার শিকার করে, প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট ভাগাভাগি করেন।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ১২২ বলে ৩৪ রান তুলে ফেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের দুই ওপেনার। ৩৮ রান করা ত্যাগনারায়ণ চন্দপলকে ফেরানোর পর আরেক ওপেনার জশুয়াকেও ঘায়েল করেন তরুণ পেসার রেজাউর রহমান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ক্যারিবিয়ান কাপ্তান ৮ চারে ৮০ বলে করেন ৬৮ রান। এরপর টেডি বিশপ ৩১ ও ৮ নম্বরে নামা চার্লসের হার না মানা ৩২ ছাড়া, স্বাগতিক অন্য কোন ব্যাটসম্যান বড় রান পাননি। ওভার প্রতি রান তোলার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের। রেজাউর, মুকিদুল ও সৌম্যরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আটকে রাখেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের। এই ৫ ওভারে ২৪ রান তুলতে পেরেছে স্বাগতিকরা। তাদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ২৩৩ করে। মুকিদুলের শিকার ৩ ক্যারিবিয়ান। রেজাউল ঘায়েল করেন ২ স্বাগতিক ব্যাটসম্যানকে। পেসবান্ধব উইকেটে এদিনও রকিবুল দারুণ বোলিং করে তুলে নেন ১ উইকেট। খালেদ ও সৌম্যের খাতায়ও আছে ১টি করে উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।