Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জিহবায় কালো দাগ

ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

জিহবায় কালো দাগ থাকলে যেমন খারাপ দেখা যায়, তেমনি রোগী এক বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিয়ের পাত্র-পাত্রীদের জিহবায় কালো দাগ থাকলে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। দেখতে হবে জিহবার কালো দাগ কোথায় হয়েছে। কালো দাগের আকৃতি কি একই ধরণের না ভিন্ন ধরণের? জিহবার কালো দাগ বিস্তৃতি লাভ করছে কিনা? এসব তথ্যের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। হেয়ারী ব্ল্যাক টাং বা কালো জিহবা হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির কারণে বা জিহবার ছত্রাক সংক্রমণের কারণে। অনেক সময় জিহবার পাশের অংশ কালচে দেখা যায়। সিলভার এমালগাম ফিলিং সরিয়ে ফেললে অনেক সময় এ ধরণের কালোভাব চলে যায়। জিহবার যেখানে টেস্ট বাড রয়েচে সে স্থানের রং অনেক সময় একটু বেশি লাল হতে পারে, আবার কালচেও হতে পারে। জিহবার টেস্ট বাড অনেকের ক্ষেত্রে জিহবার স্পট বা দাগের মত দেখা যায়। জিহবার কালো দাগকে সাধারণ ভাষায় পিগমেন্টেশন বলা হয়। কালো দাগ থাকার জন্য জিহবার স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। কালো হেয়ারী টাং বা জিহবা কিছু ওষুধের কারণে হয়ে থাকে, যেমন এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ। এছাড়া ভিটামিন স্বল্পতা ও ধূমপানের জন্যও জিহবাকালো হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। এন্টাসিড জাতীয় ঔষধের মাঝে যদি বিসমাথ থাকে তাহলে বিসমাথ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে যা পাকস্থলীতে আলসার সৃষ্টি করে থাকে। মৃত ব্যাকটেরিয়ার কারণে জিহবায় কালো দাগ দেখা যেতে পারে। পেপটো বিসমল ঔষধ সেবন করলে জিহবা কালো হয়ে যেতে পারে। তবে মাড়ির পাশে যদি কালো দাগ দেখা যায় তাহলে গাম বা মাড়ির ক্যান্সারের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ক্রমাগত ছত্রাক সংক্রমণের কারণেও জিহবায় কালো দাগ দেখা যেতে পারে। অনিয়মিত বা ভুল এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণেও এমনটি হতে পারে। ক্লোরোহেক্সিডিন জাতীয় মাউথ ওয়াশও জিহবায় কালো দাগ ফেলতে পারে। 

জিহবার
কালো দাগ যে কারণেই হোক না কেন তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনতে হবে। পিগমেন্ট রিডিউসিং কমপ্লেক্স যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জিহবার কালো দাগ দূর করা যায়। এছাড়া গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুম বিশেষ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করে রোগ নিরাময় করা সম্ভব। তবে জিহবার কালো দাগ দূর করার সময় সাপেক্ষে হতে পারে।

মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল [email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিহবা

৬ আগস্ট, ২০২১
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
১২ এপ্রিল, ২০১৯
১৯ অক্টোবর, ২০১৮
১১ মে, ২০১৮
২২ ডিসেম্বর, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন