২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
জিহবায় কালো দাগ থাকলে যেমন খারাপ দেখা যায়, তেমনি রোগী এক বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিয়ের পাত্র-পাত্রীদের জিহবায় কালো দাগ থাকলে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। দেখতে হবে জিহবার কালো দাগ কোথায় হয়েছে। কালো দাগের আকৃতি কি একই ধরণের না ভিন্ন ধরণের? জিহবা কালো দাগ বিস্তৃতি লাভ করছে কিনা? এসব তথ্যের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। হেয়ারী বø্যাক টাং বা কালো জিহবাহয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির কারণে বা জিহŸার ছত্রাক সংক্রমণের কারণে। অনেক সময় জিহŸার পাশের অংশ কালচে দেখা যায়। সিলভার এমালগাম ফিলিং সরিয়ে ফেললে অনেক সময় এ ধরণের কালোভাব চলে যায়। জিহŸার যেখানে টেস্ট বাড রয়েছে সে স্থানের রং অনেক সময় একটু বেশি লাল হতে পারে, আবার কালচেও হতে পারে। জিহŸার টেস্ট বাড অনেকের ক্ষেত্রে জিহŸার স্পট বা দাগের মত দেখা যায়। জিহŸার কালো দাগকে সাধারণ ভাষায় পিগমেন্টেশন বলা হয়। কালো দাগ থাকার জন্য জিহŸার স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। কালো হেয়ারী টাং বা জিহŸা কিছু ওষুধের কারণে হয়ে থাকে, যেমন এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ। এছাড়া ভিটামিন স্বল্পতা ও ধূমপানের জন্যও জিহŸা কালো হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। এন্টাসিড জাতীয় ঔষধের মাঝে যদি বিসমাথ থাকে তাহলে বিসমাথ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে যা পাকস্থলীতে আলসার সৃষ্টি করে থাকে। মৃত ব্যাকটেরিয়ার কারণে জিহŸায় কালো দাগ দেখা যেতে পারে। পেপটো বিসমল ঔষধ সেবন করলে জিহŸা কালো হয়ে যেতে পারে। তবে মাড়ির পাশে যদি কালো দাগ দেখা যায় তাহলে গাম বা মাড়ির ক্যান্সারের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ক্রমাগত ছত্রাক সংক্রমণের কারণেও জিহŸায় কালো দাগ দেখা যেতে পারে। অনিয়মিত বা ভুল এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণেও এমনটি হতে পারে। ক্লোরোহেক্সিডিন জাতীয় মাউথ ওয়াশও জিহŸায় কালো দাগ ফেলতে পারে।
জিহŸার কালো দাগ যে কারণেই হোক না কেন তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনতে হবে। পিগমেন্ট রিডিউসিং কমপ্লেক্স যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জিহŸার কালো দাগ দূর করা যায়। এছাড়া গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুম বিশেষ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করে রোগ নিরাময় করা সম্ভব। তবে জিহŸার কালো দাগ দূর করা সময় সাপেক্ষ হতে পারে।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।