২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ক্যান্সার তখনই সৃষ্টি হয় যখন শরীরের কোষ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিতভাবে হতে থাকে অস্বাভাবিকরূপে। জিহবার ক্যান্সারও একইভাবে হয়ে থাকে। মানবদেহে জিহবার দুটি অংশ রয়েছে। একটি হল ওরাল টাং বা জিহবা যা আমরা সচরাচর সহজেই দেখতে পাই। জিহবার এ অংশ হলো জিহবার সামনের তিন ভাগের দুই ভাগ। জিহবার অন্য অংশকে জিহবার বেস বলা হয় অর্থাৎ জিহবার পিছনের তিন ভাগের এক ভাগ। জিহবার ক্যান্সার সাধারণত মুখ এবং ওরোফেরিংস (মুখের পিছনে গলার অংশ)কে আক্রান্ত করে থাকে। জিহবার পিছনের এই অংশে ক্যান্সার হলে তাকে ওরোফেরিনজিয়াল ক্যান্সার বলা হয়। জিহবায় যে ধরনের ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হল স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা। স্কোয়ামাস সেল মুখের লাইনিংকে আবৃত করে রাখে। স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বলা হয় এই কারণেই যে, ক্যান্সারের শুরু হয় এ সেল বা কোষ থেকে।
জিহবার ক্যান্সারের কারণ : (ক) ধূমপান (খ) তামাক পাতা সেবন (গ) অতিরিক্ত এলকোহল সেবনের কারণে।
জিহবার ক্যান্সার কাদের হতে পারে? (ক) পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে (খ) যাদের মুখের স্বাস্থ্য খুবই খারাপ থাকে (গ) চল্লিশ বছরের উপরে বয়স হলে (ঘ) ধূমপান বা এলকোহল সেবনের কারণে মুখের মিউকাস মেমব্রেনের ক্রমাগত প্রদাহের কারণে (ঙ) যাদের ক্রমাগত মুখের আলসার হয়ে থাকে (চ) জেনেটিক কারণেও হতে পারে।
জিহবার ক্যান্সার হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যথাসময় চিকিৎসা গ্রহণ করলে জিহবার ক্যান্সার থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
ডা. মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল- ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল:[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।