Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেহের রোগে জিহবার বিভিন্ন রঙ

| প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৪ এএম

যে কোন অনবরত বা অস্বাভাবিক জিহবার রং বা জিহবার আবরণ কোন না কোন রোগের প্রতিফলন বা প্রতিবিম্ব তাতে কোন সন্দেহ নেই। এ অবস্থায় জিহবার স্বাদের পরিবর্তন হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। জিহবার খসখসে ভাব জিহবার প্যাপিলার জন্য হয়ে থাকে। জিহবার প্যাপিলা নষ্ট হয়ে গেলে জিহবা মসৃন দেখা যায়। বিভিন্ন রোগে জিহবার রং এর পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষ করে রক্তশূন্যতা, জিহবার প্রদাহ বা গ্লসাইটিস বা লাইকেন প্ল্যানাস, সিফিলিস বা ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে জিহবার স্বাভাবিক রং এর পরিবর্তন হয়ে থাকে। জিহবার ফ্যাকাসে রং রক্তশূন্যতার প্রতিফলন। জিহবার নীল রং অক্সিজেনের স্বল্পতার ইঙ্গিত বহন করে। জিহবার সাদা রং মৃত কোষ এবং সাদা আবরণ ওরাল থ্রাশ, ক্যান্সার অথবা এইডস রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। জিহবার রং যে সব দিকে পরিবর্তিত হতে পারে এবং তা থেকে যে সব রোগের ধারণা পাওয়া যায় তা হল :
জিহবার ফ্যাকাসে রং : জিহবার ফ্যাকাসে রং রক্তশূন্যতা, পুষ্টির অভাব, ভিটামিন স্বল্পতা, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন অথবা জটিল পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

জিহবার লাল বা লালাভ বর্ণ : জিহবার লাল রং সংক্রমণ, প্রদাহ এবং গ্লসাইটিসের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। এ ছাড়া পুষ্টিজনিত সমস্যা, ভিটামিন বি৩, অর্থাৎ নিয়াসিন এর অভাবজনিত সমস্যা পেলেগ্রার ক্ষেত্রে জিহবা লাল বা লালাভ বর্ণ ধারণ করতে পারে। পান সেবনের কারণেও জিহবার বর্ণ লাল হতে পারে।

জিহবার হলুদ বর্ণ : জন্ডিস এবং ধূমপানের ক্ষেত্রে জিহবার হলুদ বর্ণ হতে পারে।
জিহবার নীল রং : কেন্দ্রীয় সায়ানোসিস এবং সি.ও.পি.ডি রোগের ক্ষেত্রে জিহবার বর্ণ নীল হতে পারে।

পার্পল রং : সায়ানোসিস রোগের ক্ষেত্রে পার্পল রংয়ের জিহবা দেখা যেতে পারে।
জিহবার বাদামি রং : বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থতার ক্ষেত্রে জিহবায় বাদামি রং হতে পারে।
জিহবার সাদা রং : ডিহাইড্রেশন, ফাংগাল সংক্রমণ, লিউকোপ্লাকিয়া, লাইকেন প্ল্যানাস, সিফিলিস রোগে জিহবা সাদা হতে পারে।

স্ট্রবেরি জিহবা : স্কারলেট ফিভার এবং কাওয়াসাকি রোগে স্ট্রবেরি টাং বা জিহবা দেখতে পাওয়া যায়।
জিহবার কালো রং : লাইকেন প্ল্যানাস এবং ফাংগাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে কখনো কখনো কালো জিহবা দেখতে পাওয়া যায়।

মানচিত্র জিহবা : একে জিওগ্রাফিক টাং বলা হয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে জিওগ্রাফিক টাং দেখতে পাওয়া যায়।

জিহবার রং অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনতে হবে এবং রোগীদের এর যথার্থ চিকিৎসা গ্রহণ করতে
হবে। অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মুখস্ত ঔষধ সেবন বর্জন করতে হবে।

ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ।
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ [email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিহবার বিভিন্ন রঙ
আরও পড়ুন