Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেদবহুলতা কমাতে জিহবা নিয়ন্ত্রণ

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ১২:০৪ এএম

আজকাল মেদবহুলতার সমস্যা সমগ্র বিশ্বেই প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেদবহুলতা যে শুধু দেখতে খারাপ লাগে তা নয়, এর ফলে বহু শারীরিক সমস্যা এবং রোগও দেখা দেয়। তবে ছিপছিপে শরীর পেতে হলে আপনাকে যতটা ধৈর্যশীল হতে হবে, ততটাই থাকতে হবে আপনার মনোবল। এর জন্য প্রথমেই আপনার জিভকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অর্থাৎ খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে যে কোনও ধরনের ফাস্টফুড। যেমন- রোল, বার্গার, চপ, চাউমিন, লুচি, শিঙাড়া ইত্যাদি। বাদ দিতে হবে শীতল পানীয় বা ড্রিংকসও। আর মিষ্টি তো একেবারেই না। এমনকি সুগার সাবস্টিটিউট দিয়ে তৈরি মিষ্টিও একদম ছেঁটে ফেলুন খাবার তালিকা থেকে। কারণ, মিষ্টিতে চিনি ছাড়াও ব্যবহার হয় ঘি, ক্ষীর ইত্যাদি। যার ফলে ওজন বাড়ে চূড়ান্তভাবে। এছাড়া, বাড়ির রান্নায় তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিন, চায়ে চিনির পরিমাণ কম করুন। রুটি বা পরোটায় ঘি-মাখন লাগানো চলবে না। পাশাপাশি চিজ, রেডিমেড স্যান্ডইউচ, মেয়োনিজ, স্প্রেড ইত্যাদিও খাবেন না। কারণ এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।

উল্লেখ্য ওজন বাড়ার মূল কারণ হল মাত্রাধিক কার্বোহইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া। তাই ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটস জাতীয় খাবার। ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, তবে একাংশ ফল যেমন কলা, আঙুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং আঙুরে থাকে সুগার অর্থাৎ শর্করা। তাই মেদ কমাতে চাইলে ক’দিন এই ফল খাবেন না। পরিবর্তে আপেল, পেয়ারা, শশা ইত্যাদি খান। কারণ এগুলোতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।

অনেকেই টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে ভাবেন ক্যানড ফলের রস বোধ হয় স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হল, এই ক্যানড ফলের রসে থাকে অতি পরিমাণে সুগার ও প্রিজারভেটিভ যা ওজন কমানোর পরিবর্তে উল্টো বাড়িয়ে দেয়। তাই-এ ধরনের ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল খাওয়ায় জোর দিন। এছাড়া রোজের একটি সাধারণ সবজি হল আলু। তবে আলুতে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। তাই আলু কম খাবেন। পরিবর্তে খান স্যালাড, গ্রিন ভেজিটেবল ও ফল। টমোটো, শশা, বেদানা ও স্প্রাইটস দিয়ে তৈরি করুন সুস্বাদু অথচ লো ক্যালরি সব সুস্বাদু স্যালাড। মুড়ি চানাচুরের পরিবর্তে ছোলা ও শশা দিয়ে মুড়ি খান। আর তেলে ভাজা জিনিস থেকে তো শত হাত দূরে থাকবেন। এটি যে শুধু ওজন বাড়ায় তা নয়, বিভিন্ন রোগও ডেকে আনে। যেহেতু ডায়েট কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন, তাই বাড়িয়ে দিন প্রোটিনের মাত্রা। প্রতিদিন খান মাছ, চিকেন, পনির, সয়া চাংকস, রাজমা, ডাল ইত্যাদি। খেতে পারেন লো ফ্যাট ডেয়ারি প্রোডাক্টও। আর ঘরে পাতা দই হলে সবচেয়ে ভালো। কারণ বাজারে প্রাপ্ত দইয়ে অনেক সময় ডালডা মেশানো হয়। মনে রাখবেন, না খেয়ে কিন্তু ওজন কমানো যায় না। বরং বার বার অল্প অল্প করে খান। কারণ একটানা না খেয়ে থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। হতে পারে নানা ব্যাধি। কমে যেতে পারে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও তাই এই ভুল করবেন না। দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খান। এছাড়া ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই শরীরচর্চার প্রয়োজন। তাই দিনে কিছু সময় আরোবিক্স, জিম, ফ্রি হ্যান্ড বা যোগাভ্যাস করুন। স্কিপিং করলেও বাড়তি ওজন কমবে।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট। মোবাইল-০১৭১২-১০০০৭৭।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিহবা নিয়ন্ত্রণ
আরও পড়ুন