বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাসেই দেশের কৃষি খাতে ঋণপ্রবাহ বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। ব্যাংকগুলো ওই মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। শুধু বিতরণ নয়, কৃষিঋণ আদায়েও দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে অর্থায়নবিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশের সবক’টি ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। যদিও গত অর্থবছরের জুলাইয়ে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছিল ব্যাংকগুলো। ওই সময় কৃষিঋণ বিতরণে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিতরণের পাশাপাশি কৃষিঋণ আদায়ও কমেছে। অর্থবছরের প্রথম মাসে ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ আদায় করেছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ৬১৩ কোটি টাকার কৃষিঋণ আদায় হয়েছিল। এ হিসাবে কৃষিঋণ আদায় কমেছে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। যদিও ২০১৭ সালের জুলাইয়ে কৃষিঋণ আদায়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের তৈরি এ প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম মাসেই ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাই শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে কৃষিঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে কৃষিতে ঋণের স্থিতি ছিল ৩৯ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কৃষি খাতে ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।