পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ (রোববার) নতুন এ নীতিমালা ঘোষণা করবেন গভর্নর ফজলে কবির। এতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় কৃষিঋণ বিতরণে গ্রাহক থেকে সার্ভিস চার্জ আদায়ের বিষয়টি প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বাড়ছে কিছু কিছু লক্ষ্যমাত্রা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, গত ২৮ জুলাই নীতিমালাটি ঘোষণা করার কথা ছিল। পরে তারিখ পরিবর্তন করা হয়। আজ (৩১ জুলাই) নীতিমালাটি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি বলেন, প্রতিবারই আমাদের কিছু কিছু লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়। এবারও লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে। তবে নতুন নীতিমালায় কিছু কিছু খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঋণ বিতরণের কথা বলা হবে ব্যাংকগুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এবার কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালায় খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না। তবে অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় কৃষিঋণ বিতরণে গ্রাহক থেকে সার্ভিস চার্জ আদায়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এবারই প্রথম।
বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি, পেয়ারা চাষসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতেও ঋণ বিতরণের নিয়ম ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তবে এবার ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ বিতরণে যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হবে তা পূরণে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে কৃষিঋণের সুদহার পুনঃ নির্ধারণ করে দিয়েছে। যা চলতি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়টিও নীতিমালায় উল্লেখ থাকবে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া এই নীতিমালায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পাট চাষকেও। প্রণীত নীতিমালায় ডাল, তেলবীজ, মসলা এবং ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এবারও রেয়াতি হার সুদে ঋণ দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মধু চাষসহ অনগ্রসর খাতসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ফসলি জমিতে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নেও ঋণ দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।