Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রোনালদো বললেন ‘বানানো তথ্য’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

গত কয়েকটা দিন ধরেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে সরব সংবাদমাধ্যম। না, ফুটবলীয় কোন কারণে নয়, পর্তুগিজ ফুটবল তারকার বিরুদ্ধে এসেছে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রথমে অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন রোনালদো। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে জুভেন্টাস তারকার বিপক্ষে শক্ত প্রমাণাদি বের হতে শুরু করেছে। কিছুদিন নিভৃতে থাকার পর তাই আবারো মুখ খুলেছেন রোনালদো। অবশ্য রোনালদো সরাসরি কিছুই বলেননি। বলেছেন আইনজীবীর মাধ্যমে। সেখানে বলা হয়েছে, জাল তথ্যাদির উপর ভিত্ত করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ও বর্তমান শিক্ষিকা ক্যাথরিন মায়োরগা ২০০৯ সালে রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। সংবাদমাধ্যম
২০০৯ সালের রোনালদো যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। এসময় লাস ভেগাসের এক হোটেলে মদ্যপান ও নাচানাচি শেষে রুমে নিয়ে ঐ নারীকে ধর্ষণ করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ঘটনা গোপন রাখতে আইনজীবীর মাধ্যমে দুই পক্ষ ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার সমঝোতা করেন। মায়োরগার দাবি, তিনি নাকি পরের দিনই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার ও রোনালদোর আইনজীবীকে নাকি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা যদি সমঝোতা করতে পারে তাহলে পুলিশ আপত্তি করবে না। রোনালদো উপরোক্ত অর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন, একই সঙ্গে এই ঘটনা কখনো প্রকাশ করা হবে না বলে একটি অঙ্গিকারনামাও করা হয়। ২০১০ সালের ১২ জুলাই করা সেই চূক্তিপত্রে রোনালদো ও মায়োরগার সইও রয়েছে।

জার্মান পত্রিকা ডের স্পেইগেলে প্রথমে এ বিষয়ে খবর ছাপা হয়। তবে ঐ নারীর সম্মতি না থাকায় এ নিয়ে বেশি ঘাটাঘুটি করেনি পত্রিকাটি। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলনের পর ক্যাথলিন নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এরপরই রোনালদোর বিপক্ষে প্রতিবেদন পেশ করা শুরু করেছে পত্রিকাটি। যার সর্বশেষ সংযোজন এই চূক্তিনামা ফাঁস। এতোমধ্যে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে পুনঃতদন্তে নেমেছে লাস ভেগাস পুলিশ।

তপ্ত এই খবরের মাঝে আরো তিন নারী রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ফোন করেন মায়োরগার আইনজীবীর কাছে। তবে এসব খবর ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দেন রোনালদো। তার ইমেজ স্বত্বকে কাজে লাগিয়ে পত্রিকাটি জনপ্রিয় হতে চায় বলে তাদের অভিযোগ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয় রোনালদোর পক্ষ থেকে। এরপরও পিছু হটেনি ডার স্পেইগেল। উপরন্তু একের পর এক টুইটার ও গণমাধ্যমে সব প্রমাণ প্রকাশ করতে থাকে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমটির মন্তব্য, ‘এই নথির সত্যতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। রোনালদোর আইনজীবীর পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি।’ এরপরই রোনালদোর পক্ষ থেকে তার আইনজীবী পিটার ক্রিশ্চিয়ানসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একটি সংবাদমাধ্যম দায়ীত্বজ্ঞানহীনভাবে চুরি করা ডিজিটাল তথ্যাদি দিয়ে নিজেদের মত করে’ এই প্রতিবেদন করেছে। সেখানে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুরোপুরি পরিবর্তন করে বানানো হয়েছে’ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

তবে এই আইনজীবী এও বলেছেন, মুখ বন্ধ রাখতে চুক্তিপত্রের ব্যাপারটি রোনালদো অস্বীকার করছেন না। কিন্তু ‘কাজটি করার পিছনে যে কারণ ছিল তা বিকৃত করা হয়েছে’। ‘সেদিন যা হয়েছিল তা উভয়ের সম্মতিতে’ বলেও উল্লেখ করেন পিটার। তিনি বরো বলেন, ‘এই চুক্তিপত্র কোন অবস্থাতেই দোষীর স্বীকারোক্তি নয়। অভিযোগটির নিষ্পত্তি করতে রোনালদো শুধু তার আইনজীবীর কথা শুনছেন’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোনালদো

১১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ