নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সময় যতই গড়াচ্ছে ততই যেন থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে।
জার্মান পত্রিকা ডের স্পেইগেল সম্প্রতি রোনালদোকে নিয়ে ধারাবাহীক রিপোর্ট পেশ করে চলেছে। তাদের অভিযোগ, পর্তুগিজ তারকা লস অ্যাঞ্জেলসের এক হোটেলে এক আমেরিকান নারীকে ধর্ষণ করেছেন। তাদের প্রকাশিত খবর ‘বানোয়াট’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রনীত’ বলে প্রথমদিকে উড়িয়ে দেন রোনালদো ও তার আইনজীবী। মানহানী মামলার হুমকিও দেন তারা। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে রোনালদোর ধর্ষণের পক্ষে জোরালো প্রমাণ বের হয়ে আসছে। যার সর্বশেষ সংযোজন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষক ও ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই পক্ষের মধ্যকার আর্থিক চূক্তিনামা ও অঙ্গিকারনামা ফাঁস!
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা ২০০৯ সালে রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। সংবাদমাধ্যম ডের স্পেইগেলে গতবছর তা প্রকাশ পায়। তবে ঐ নারীর সম্মতি না থাকায় এ নিয়ে বেশি ঘাটাঘুটি করেনি পত্রিকাটি। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলনের পর ক্যাথলিন নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এরপরই রোনালদোর বিপক্ষে প্রতিবেদন পেশ করা শুরু করেছে পত্রিকাটি।
রোনালদো বার বার এই ঘটনা অস্বীকার করে আসলেও পুরো ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে ডের স্পেইগেল। ২০০৯ সালের ঐ সময় রোনালদো যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। এরই মাঝে লাস ভেগাসের এক হোটেলে ঐ নারীকে ধর্ষণ করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ঘটনা গোপন রাখতে আইনজীবীর মাধ্যমে দুই পক্ষ ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার সমঝোতা করেন। মায়োরগার দাবি, তিনি নাকি পরের দিনই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার ও রোনালদোর আইনজীবীকে নাকি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা যদি সমঝোতা করতে পারে তাহলে পুলিশ আপত্তি করবে না। রোনালদো উপরোক্ত অর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন একই সঙ্গে এই ঘটনা কখনো প্রকাশ করা হবে না বলে একটি অঙ্গিকারনামাও করা হয়। ২০১০ সালের ১২ জুলাই করা সেই চূক্তিপত্রে রোনালদো ও মায়োরগার সই রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমটির মন্তব্য, ‘এই নথির সত্যতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। রোনালদোর আইনজীবীর পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি।’
প্রকাশিত নথিতে রোনালদোর ছদ্মনাম ‘টফার’ ও মায়োরগার ‘মিসেস সি’। সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য অনুযায়ী রোনালদোর কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মিসেস সি (মায়োরগা) কি সে সময় চিৎকার করেছিলেন? জুভেন্টাস তারকা জবাব দেন, সে ‘না’ বলেছে ও কয়েকবার বাধা দিয়েছে।
এই ঘটনায় লাস ভেগাস পুলিশ পুনঃতদন্ত শুরু করেছে। সেখানকার এক পুলিশের মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররকে বলেছেন, ‘আমরা জানি না এটা কখন ঘটবে (জিজ্ঞাসাবাদ)। তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে অবশ্যই তার কথা শুনতে হবে।’
ডেল স্পেইজেলের মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দশ বছরের জেল হতে পারে রোনালদোর। এরই মাঝে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে আরেকটি খবর। খবরটি দিয়েছেন মায়োরগার আইনজীবী লেসলি স্টোভাল। তাকে নাকি আরো তিন নারী ফোন দিয়ে জানিয়েছেন মায়োরগার মত একই ঘটনার শিকার তারাও! তবে স্টোভাল এখন এই অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে ব্যস্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।