বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝালকাঠি কারাগারের হাজতি একটি চাঁদাবাজী মামলার আসামি ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান মন্টুর (৪৮) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কারা শাখায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আটকের সময় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনে মন্টুর একটি পা ভেঙে গিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, বাসন্ডা ইউনিয়নের লেশপ্রতাপ গ্রামের এক ব্যবসায়ীর করা একটি চাঁদাবাজী মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি থানা পুলিশ তাকে আটক করে। আটক হওয়া মন্টুকে নিয়ে পুলিশ থানায় আসার পথে রিকশা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে যায়। এসময় ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন ইউপি সদস্য মন্টুকে মারধর করে। এতে তার অণ্ডকোষে আঘাত লাগে। পুলিশ তাকে ওই দিনই আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে তিনি অসুস্থ হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মন্টুর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এদিকে বাসন্ডা ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্য সদস্যরা। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। মন্টুর বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাচ্চু বলেন, মন্টুর নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা করা হয়েছিল। এ মামলা তদন্ত করার সময় পুলিশ মন্টুকে আটক করে নির্যাতন করেছে। লাঠি দিয়ে তাঁর শরীরের ভিবিন্ন স্থানে পিটিয়েছে এসআই দেলোয়ার। তাঁর হাত থেকে বাঁচার জন্য মন্টু রিকশা থেকে লাফ দিলে পা ভেঙে যায়। এর পরেও দেলোয়ার তাকে মারধর করে। এতে মন্টুর অণ্ডকোষে আঘাত লাগে এবং মাথায়ও ব্যাথা পায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে ঝালকাঠির জেলার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাজতি খলিলুর রহমান মন্টু কারাগারে অসুস্থ অবস্থায়ই এসেছিলো। তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কারা শাখায় রাখা হয়েছিলো। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদ স্বজনদের জানানো হয়েছে। কি কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পর সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’ এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনেক দিন আগে তাকে আটক করেছি। তাকে কোন মারধর করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।