বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফতুল্লায় ভুল চিকিৎসায় সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে বেসরকারি একটি হাসপাতাল ভাঙচুর করেছেন স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিক্ষুব্ধদের দাবির প্রেক্ষিতে হাসপাতালটির মালিক ও ডাক্তারসহ ৬ জনকে আটক করেছে। শনিবার সকালে ফতুল্লার পাগলা বাজার এলাকার নিউ পপুলার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিল্পী বেগম (৩০) উপজেলার কুতুবপপুর পূর্ব দেলপাড়া এলাকার রং মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। আটককৃতরা হলেন, নিউ পপুলার হাসপাতালের মালিক ডা. মজিবুর রহমান, ডা. কামরুন্নাহার, মাসুম আহমেদ, আহম্মদ আলী খান, মেডিকেল অফিসার ডা. জামিল আহমেদ ও নার্স সুরমা বেগম। নিহতের স্বামী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী শিল্পী বেগম ৫ মাসের অন্তঃসত্বা ছিল। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে নিউ পপুলার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে ডা. জেসিকা রিজভী তামান্না পরীক্ষা করে জানান ‘গর্ভে বাচ্চা নরমাল আছে তবে পানি ভাঙছে। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, এরপর ডাক্তারের পরামর্শে আমার স্ত্রীকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করি। গত শুক্রবার দুপুর থেকেই হাসপাতালের লোকজন বলছে অপারেশন করতে হবে। তখন আমি জানতে চাই ‘গর্ভের সন্তান নরমাল থাকলে অপারেশন কেন ?’ তারা বললো, রক্ত নিয়ে আসেন দ্রুত। আমি রক্ত আনতে যাই। এর মধ্যে আমার স্ত্রীকে কোনো অনুমতি ছাড়াই অপারেশন করে সন্তান বের করে।
আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারের বলে দেয়া মতো রক্ত নিয়ে এসে দেখি শিশুটির গলাকাটা এবং আমার স্ত্রীর নিথর দেহ পড়ে আছে। তখন জানতে চাইলে নার্স ও ডাক্তাররা জানায়, ‘আপনার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেলে নিতে হবে।’ তখন তারাই অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয়। এতে আমার সন্দেহ হয়। এরপর তাদের লোকজনই জানায়, সে মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে হাসপাতাল মালিক কামরুন্নাহার বলেন, যখন পেটের পানি ভাঙা শুরু হয়েছে তখনই বলেছি রোগীকে অপারেশন করতে হবে রক্ত সংগ্রহ করেন। কিন্তু রোগীর স্বামী তা যথাসময়ে করেননি। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় রোগী স্ট্রোক করেন। এর মধ্যেই অপারেশন করে ৫ মাসের শিশুটি পেট থেকে মৃত অবস্থায় বের করা হয়। তখন রোগীর অবস্থা গুরুতর মনে হলে আমরা তাকে গত শুক্রবার রাত ১টায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠাই। আমাদের চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিল না।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক দিদারুল আলম জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল কিছুটা ভাঙচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।