রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরার কৃঞ্চনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি তরুণলীগ নেতা আব্দুল জলিল গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে কৃঞ্চনগর বাজারে অবস্থিত যুবলীগ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল জলিল কালিগঞ্জ উপজেলার কৃঞ্চনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের শঙ্করপুর গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাইনের ছেলে। এ ছাড়া জলিল গাইন কৃঞ্চনগর ইউনিয়নের তরুণ লীগের সভাপতি পদে ছিলেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে কৃঞ্চনগর বাজারে অবস্থিত যুবলীগ অফিসে বসা ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে একদল সন্ত্রাসী গুলিকরে ও কুপিয়ে হত্যা করে। প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটনোর পর নিহত চেয়ারম্যানের বড় মেয়ে সাদিয় ইসলাম ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৯ জনকে আসামি করে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার পর থেকে ইউপি সদস্য জলিল পালিয়ে ছিল।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকার লোকজন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে গত শুক্রবার দুপুরে ঘাতক জলিলকে আটক করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। পরে যোগাযোগ করে তাকে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জলিল চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, হত্যায় ব্যবহুত অস্ত্র কৃঞ্চনগর বাজারে যুবলীগ অফিসের পাশে রয়েছে। তাকে নিয়ে শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের সময় পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে সেখানে গেলে হাজার হাজার জনতা পুলিশের কাছ থেকে জলিলকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। ওসি আরো জানান, জলিলের বিরুদ্ধে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতিসহ এক ডজনের অধিক মামলা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।