পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানকে আবার একটি মহান জাতিতে পরিনত করতে আমাদেরকে হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে। যেভাবে তিনি বিভিন্ন গোত্রকে একত্রিত করে একটি জাতি গঠন করেছিলেন যারা শতবর্ষ ধরে পৃথিবী শাসন করেছিল।
গত বৃহষ্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে দেশটির ৫৩তম প্রতিরক্ষা দিবস ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইমরান খান এসব কথা বলেন। এতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার বাজওয়াসহ অন্য সেনা কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। খবর ডন।
ইমরান খান বলেন, অতীতের দিকে আমাদের তাকাতে হবে। মুহম্মদ (সা.) সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এসে একটি জাতি গঠন করতে তিনি কী করেছেন, তা দেখতে হবে। সবাইকে নিয়ে তিনি এমন একটি শক্তিশালী জাতি গঠন করেছিলেন, যারা কয়েকশ’ বছর বিশ্বকে শাসন করেছে। তিনি বলেন, এ জাতি তখনই জাগ্রত হবে, যখন একজন গরিব মানুষও দেখবেন, তার সন্তান সরকারি খরচে ভালোমানের পড়াশোনা করতে পারছেন। এ শিক্ষার মাধ্যমেও তারা জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তিনি বলেন, তখন সাধারণ মানুষও এ ব্যবস্থার অংশ হতে চাইবে। তারা এটিকে নিজের বলে মনে করবেন।
ইমরান খান আরো বলেন, ভবিষ্যতে বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের স্বার্থে লড়াই করবে না পাকিস্তান। তার কাছে দেশের স্বার্থই সবার আগে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এত আত্মত্যাগ করেনি।
সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করলেও ইমরানের এই মন্তব্য আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশে বার্তা বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন স্বার্থ দেখছে না পাকিস্তান। বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে হোয়াইট হাউস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।