পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় আটক অভিনেত্রী কাজী নওশাবাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নওশাবার ডায়রিয়া ও স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা রয়েছে বলে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক বলেন, রোববার নওশাবাকে এমআরআই করানো হয়েছে। এমআরআই রিপোর্টে নওশাবার স্পাইনাল কর্ডে কিছু সমস্যা দেখা গেছে। যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগে থেকেই স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা ছিল। ওই চিকিৎসক আরও জনান আজ (গতকাল) সিনিয়ার চিকিৎসকরা নওশাবার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ সময় তারা এক্সেরে, ইসিজিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা দেন। এ সব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশ ও ঢামেক সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত সোমবার দুপুরের পর কাজী নওশাবাকে আদালত প্রাঙ্গনে হাজির করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বিকালে পুনরায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন নওশাবার আইনজীবী এ এইচ ইমরুল কাওসার আসামীর জামিন চাইলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে নওশাবাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাতে নওশাবা আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ রাত ১০টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এদিকে রোববার বিকেলে নওশাবাকে ঢামেকে আনা হলে চিকিৎসকরা তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে জানায়। এছাড়া তাকে এমআরআই পরীক্ষা করতে বলেন। পরে বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে এমআরআই পরীক্ষা করায় পুলিশ। রাতে এসে রিপোর্ট দেখানোর পর চিকিৎসকরা নওশাবাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, অভিনেত্রী নওশাবা পুলিশ পাহরায় হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে হাটা চলা করতে পারছেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, নওশাবার পাহাড়ায় দু’জন নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও চারজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া নওশাবার পরিবারের কয়েকজন সদস্য তাকে দেখতে গেছেন বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করেন।
নওশাবার মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৪ অগাস্ট দুপুরের দিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ধানমমন্ডি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বত্তদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরই নওশাবা তার ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও একজনের চোখ উপরানো সংক্রান্ত গুজব প্রচার করে বলে এজাহারে লেখা রয়েছে। ওইদিনই উত্তরার একটি সুটিং স্পট থেকে নওশাবাকে আটক করে র্যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।