পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, অত্যন্ত স্পর্শকাতর দুই একটি বিষয়কে নির্বাচনী রাজনীতি এবং নির্বাচনী প্রোপাগান্ডার সাথে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশ থেকে বদলি হয়েছেন সত্য, কিন্তু এখনও তার উত্তরসূরি ঢাকায় আসেননি এবং বার্নিকাটের নিকট থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। মনে হচ্ছে, ঢাকায় এসে দায়িত্ব গ্রহণ করতে তার কিছু সময় লাগবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার নিয়োগ ঘোষণা করেছেন। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, সেই নিযোগটি মার্কিন সিনেট কর্তৃক কনফার্ম করতে হবে। যতদূর জানা গেছে বার্নিকাটের উত্তরসূরির সেই নিয়োগ এখনও কনফার্ম হয়নি। সুতরাং যতদিন নতুন রাষ্ট্রদূত এসে দায়িত্ব গ্রহণ না করছেন ততদিন মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সেই তাকে নিয়ে যদি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার উৎখাতের অভিযোগ ওঠে এবং সেই অভিযোগটিও যদি তোলেন একাধিক মন্ত্রী তাহলে বিষয়টি গুরুতর হয়ে ওঠে। যারা এসব অভিযোগ তোলেন, তারা মন্ত্রী হলেও সম্ভবত একটি কথা ভুলে যান যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বা অন্য বিষয় সম্পর্কে যখন কথা বলেন তখন তার বক্তব্যের পেছনে মার্কিন সরকারের সমর্থন থাকে, অথবা মার্কিন সরকার কর্তৃক আদিষ্ট হয়েই তিনি সে বক্তব্য দেন। কিছুদিন আগে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে মার্শা বার্নিকাট একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেই বিবৃতিতে তিনি এসব নির্বাচনে কিছু কিছু অনিয়মের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করার আহবান জানিয়ে ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য অবাঞ্ছিত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের শামিল। বার্নিকাটের তরফ থেকে ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের উত্তর দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছিলো যে, গণতান্ত্রিক দেশে একজন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের বিরোধিতা বা সমালোচনা একজন মন্ত্রী বা পলিটিশিয়ান করতেই পারেন। কিন্তু আলোচ্য ক্ষেত্রে বার্নিকাটের বক্তব্যের পেছনে মার্কিন সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বস্তুত মার্কিন সরকারের অনুমতিক্রমেই তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। তারপর এই বিতর্ক থেমে গিয়েছিলো।
কিন্তু এবার একটি মারাত্মক সংবেদনশীল ব্যাপারে একজন মন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এই মন্ত্রী হলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর একজন মন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি হলেন মতিয়া চৌধুরী। রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু একজন সম্মানী লোককে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করতে হবে বলে তাকে চোর বলা হয় না। কিন্তু এই অশালীন কাজটি করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট শেখ হাসিনার অনুরোধ রাখেননি ড. কামাল। সেই তিনি এখন চোরদের সাথী হয়েছেন।’ শুক্রবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘ষড়যন্ত্র যুগে যুগে’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ড. কামাল হোসেনকে মোশতাক সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তিনি বললেন তা করতে পারবেন না। দেশে যারা লুটপাট করেছে, ড. কামাল আজ তাদের সঙ্গ দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা চোরের হাতের বন্দুক আর গেরস্তের হাতের বন্দুক এক করবেন না। চোর বন্দুক দিয়ে সাধারণ মানুষ মারে আর গেরস্ত বন্দুক দিয়ে মানুষ বাঁচায়। তাই আশা করব, আপনারা চোরকে চোর লিখবেন।’ আয়োজক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব অধ্যাপক ড. শামসুল আলমসহ অনেকে।
দুই
ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট বা চুরি করার অভিযোগ আনার কোনো সুযোগ নাই। এখানে আমি একটি জিনিস পরিষ্কার করে বলতে চাই। সেটি হলো, আমরা কিন্তু ড. কামাল হোসেনের ব্রিফ ক্যারি করার জন্য লিখতে বসিনি। তবে সত্যকে সত্য বলতে হবে, কোদালকে কোদাল বলতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ড. কামাল হোসেন একবারই মাত্র মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেটিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্যাবিনেটে। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় তিনি প্রথমে আইনমন্ত্রী এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান, যা ৭২-এর সংবিধান বলে পরিচিত, সেই সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি সাকুল্যে মন্ত্রিত্বই করেন বছর তিনেক। আর অবশিষ্ট ৪৪ বছর তিনি মন্ত্রীও নাই বা অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় লাভজনক পদে নাই (অফিস অব প্রফিট)। তাহলে কামাল হোসেন চুরি করার সময়টি পেলেন কখন? নাকি ৪৪ বছর আগে তিনি ৩ বছর এতই কামাই করেছিলেন যে, অবশিষ্ট ৪৪ বছর তা দিয়ে রাজার হালে কাটিয়েছেন এবং বাকি জীবনটাও কাটিয়ে দেবেন। মতিয়া চৌধুরী বয়সেও প্রবীণ এবং পলিটিশিয়ান হিসাবেও বর্ষীয়ান। কিন্তু সেই তিনি মাঝে মাঝে এমন সব উক্তি করেন যেগুলি একদিকে যেমন তার অজ্ঞতার পরিচয় দেয়, তেমনি সেগুলি কুরুচির পরিচায়ক।
কোটা আন্দোলনের সময় দেশের প্রায় সমস্ত মানুষ আন্দোলনকে সমর্থন করেছে এবং যে আন্দোলনে সারাদেশ উত্তাল তখন তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে জাতীয় সংসদের ফেøারে দাঁড়িয়ে গালি দিয়েছেন। কোটি কোটি তরুণ-যুবক এবং ছাত্র যদি রাজাকারের বাচ্চা হয় তাহলে মতিয়া চৌধুরীদের মতো মানুষ তো মাইক্রোস্কোপিক মাইনরিটি। একটি প্রবাদ রয়েছে, ‘রাজা যাহা বলে/ পারিষদ দলে বলে তার শত গুণ’। মতিয়া চৌধুরী বেসিক্যালি বামপন্থী রাজনীতির প্রোডাক্ট। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পাকিস্তান আমলেই ছাত্র ইউনিয়ন দুই ভাগে ভাগ হয়। এক ভাগকে বলা হতো পিকিংপন্থী (এখন বেইজিং)। আর এক ভাগকে বলা হতো মস্কোপন্থী। পিকিংপন্থীদেরকে বলা হতো ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন), আর মস্কোপন্থীদেরকে বলা হতো ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া)। এরা কেউই অরিজিনাল আওয়ামী লীগার নন। বরং এরা ঘোরতর আওয়ামী লীগের সমালোচক। তবে বাংলাদেশে বামপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যত ফর্সা দেখে মেনন এবং মতিয়া দুই জনই আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়েছেন এবং দুই জনই মন্ত্রী। কথায় বলে, বাঘ লাফায় ১২ হাত আর ফেউ লাফায় ১৩ হাত। এদেরও হয়েছে সেই দশা। এরা প্রতিপক্ষকে যত কষে গাল দেন তত কষে গাল আওয়ামী লীগ নেতারাও দেন না।
তিন
লেখা শুরু করেছিলাম বার্নিকাটের সাথে কামাল হোসেনের সরকার উৎখাতের ষড়যন্তু নিয়ে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ড. কামাল হোসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ষড়যন্ত্র করেছিলেন সরকার ফেলে দিতে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আমাদের বন্ধু ছিলো না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের পক্ষ হয়ে আমাদের চরম বিরোধিতা করেছিলো। এখনো তারা পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মুলগ্রাম ইউপির চারগাছ কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক শোকসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ড. কামাল হোসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একাট্টা হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে। নিরপরাধ শিশুরা স্কুলে যাবে। এ সময় তাদের ওপর বাস তুলে দেওয়া হলো। এতে শিক্ষার্থীদের রাগ হওয়ারই কথা। তারা আন্দোলন করলো নিরাপদ সড়কের জন্য। আমরা তাদের বলেছি, দাবি সঠিক। সড়ক নিরাপদ করতে হবে, করবো। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি তোমরা ফিরে যাও। তারা ফিরে যাচ্ছিলো। তখন ড. কামাল হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একাট্টা হয়ে ষড়যন্ত্র করেছে সরকার ফেলে দিতে হবে। একটি মহল মুসলমানবিরোধী মার্কিনিদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘নতুন করে আবার সরকার পতনের গভীর যড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে মার্কিন রাষ্ট্র্রদূতকে নিয়ে ঢাকার একটি বাসায় ড. কামাল হোসেনরা গোপন বৈঠক করে। পরে আমার মোবাইলে এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে ‘ক্ষমতা তো গেল, বেরোবেন কোন দিক দিয়ে!’
এ ব্যাপারে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিটি এই: মার্কিন, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে একদল সশস্ত্র লোক হামলা করেছে। মোটরসাইকেল আরোহীসহ একদল সশস্ত্র লোক শনিবার, আগস্ট ৪ ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী দূতাবাসের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। রাষ্ট্রদূত ও তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত দল অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলায় রাষ্ট্রদূত, তাঁর গাড়িচালক ও নিরাপত্তা স্টাফদের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুটি গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় দ্রæত সাড়া প্রদান এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
দেখা যাচ্ছে যে অনেকদিন পর হঠাৎ করে ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আক্রমণের বান ডেকেছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছাড়াও কামাল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। কেন কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আক্রমণের এই বন্যা? ‘ঢাকা টাইমস’ নামক একটি পত্রিকা ধারণা করছে যে, সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের বাসায় যে নৈশ ভোজ হয়েছিল সেই ভোজে একজন আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জনাব ও বেগম ড. কামাল হোসেন। আর এখান থেকেই গুজবধর্মী ঐ মারাত্মক অভিযোগটি উৎসারিত হয়। ঐ নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়েছিলো বাংলাদেশ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের বিদায় উপলক্ষে। বদিউল আলম মজুমদারের বিবৃতি মতে, ঐ ভোজ সভায় উপস্থিত ছিলেন সর্ব মোট ১০ জন। এদের মধ্যে জনাব ও বেগম মজুমদার, তার কন্যা ও জামাতা, তার পুত্র ও পুত্রবধু, মিস বার্নিকাট, জনাব ও বেগম কামাল হোসেন এবং সুজনের হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এই ভোজ সভাকেই গভীর রাতের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক বলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন। সাদা চোখে যা দেখা যায় সেখানে ১০ ব্যক্তির মধ্যে ৬ জনই অরাজনৈতিক। বাকি ৪ জন ঐ ৬ জনের উপস্থিতিতে কি এমন ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করতে পারেন? ঐ ভোজ সভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং কামাল হোসেন উভয়েই ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি। এটি গভীর রাতের ষড়যন্ত্র হয় কীভাবে? ভোজ সভা শেষ হয় রাত ১১টার একটু আগে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট তার গাড়িতে চড়েন রাত ১১টায়। সুতরাং যে ষড়যন্ত্র তত্ত¡ মন্ত্রী আনিসুল হক, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রমুখ বলছেন সেগুলো ধোপে টেকে না।
তারপরেও আমাদের বক্তব্য হলো, যদি সরকার সত্যিই মনে করেন যে সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং কামাল হোসেন মিলে সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাহলে তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক এবং বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক এবং সেই নিরপেক্ষ তদন্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। সেগুলো কিছুই না করে শুধু সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বললে জনগণ সেগুলো বিশ্বাস করবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।