নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাশিয়া বিশ্বকাপে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি ব্রাজিল। পারেননি দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারও। উল্টো মাঠে অভিনয় করে সেলেসাও নাম্বার টেন বার বার হয়েছেন সমালোচিত। নেইমারের এই অতি অভিনয় নিয়ে তার পাগলা ভক্তরা ইতিবাচক থাকলেও নেইমার নিজে এবার স্বীকার করেছেন আসল সত্যটা। দিয়েছেন বদলে যাওয়ার আশ্বাস।
এটা ঠিক রাশিয়ায় অতিরিক্ত ফাউলেন শিকার হয়েছেন নেইমার। বিশ্বকাপে কম ম্যাচে সর্বোচ্চ ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন। তেমনি এটাও ঠিক কখনো আঘাত পাওয়ার পর অতিরঞ্চিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পিএসজি তারকা। তবে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বদলে যাওয়ার আশ্বাস দিযেছেন তিনি। সম্প্রতি জিলেটের ৯০ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন নেইমার। এর পুরোটা সময় নিজেই প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরেছেন নেইমার। বিজ্ঞাপনটি ব্রাজিলের টিভি চ্যানেলে প্রাচারিত হচ্ছে। নেইমার নিজেও তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন।
বিজ্ঞাপনে ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘বুট দিয়ে পাড়া দেয়া। মেরুদন্ডে লাথি মারা। পায়ের পাতায় চাপা দেয়া- আপনারা ভাবতে পারেন এতে আমি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। কখনও কখনও আমি তা করেছিও। কিন্তু সত্যটা হলো, মাঠে আমি ভুগেছি। আপনাদের কোনো ধারণাই নেই, এর বাইরে কিসের মধ্যে দিয়ে আমি গেছি।’ ‘যখন আমি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলে চলে যাই, তার মানে এই নয় যে, আমি শুধু জিততেই পছন্দ করি। এর কারণ আমি এখনও আপনাদের হতাশ করতে শিখিনি।’ ‘আমাকে যখন অভদ্র মনে হয়, এর কারণ এই নয় যে আমি বখে যাওয়া ছেলে। এর কারণ, আমি এখনও আমার হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখিনি।’ ‘আমার মধ্যে এখনও একটা বালক সত্ত¡া আছে। কখনও কখনও তা বিশ্বকে বিমোহিত করে। আবার কখনও তা সবাইকে হতাশ করে। আমার লড়াইটা এখন এই বালক সত্ত¡াকে বাঁচিয়ে রাখা। তবে তা নিজের মধ্যে, মাঠে নয়।’ ‘আপনারা মনে করতে পারেন আমি একটু বেশিই পড়ে যায়, তবে সত্যটা হলো আমি মাঝে মাঝে পড়ি। এবং এটা আমাকে অপারেশন করা গোড়ালিতে অন্যদের চেয়ে বেশি ব্যাথা দেয়।’ ‘আমি আপনাদের সমালোচনা গ্রহণ করতে সময় নিয়েছি। আমি আয়নায় নিজের দিকে তাকাতে সময় নিয়েছি এবং নতুন মানুষ হয়ে উঠেছি।’
‘আমি মাটিতে পড়ে গেছি, তবে ওই সব মানুষের মতো যারা পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারে। আপনারা আমার দিকে পাথর ছুড়তে পারেন কিংবা পাথরটা অন্যদিকে ছুড়ে আমাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারেন। কারণ যখন আমি উঠে দাঁড়াব, পুরো দেশ তখন আমার সঙ্গে উঠে দাঁড়াবে।’
বিশ্বকাপে নেইমার তেমন জ্বলে উঠতে পারেনি। হেক্সা মিশনে নামা ব্রাজিল শেষ আট থেকে বিদায় নেয় বেলজিয়ামের কাছে হেরে। আসরে দুটি গোল করেন নেইমার। এর আগে প্রায় সাড়ে তিন মাস তাকে লড়াই করতে হয় চোটের সঙ্গে। এরপরও বিশ্বকাপে তাকে নিয়ে অনেক আশা ছিল ভক্তদের। কিন্তু তার প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। উল্টো অভিনয়ের জন্যে হয়েছেন সমালোচিত। সম্প্রতি প্রকাশিত ফিফা শীর্ষ দশ বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকাতেও নেই তার নাম। সব মিলে নিজের প্রতিকূল অবস্থাটা ভালোই টের পাচ্ছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।