Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপের রাজা রোনালদো

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাসকে স্পর্শ করেছিলেন। বুধবার মরোক্কোর বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল করে পুসকাসকে ছাড়িয়ে বনে যান ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তিনি? কে আবারÑ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
এই একটি গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। অথচ পুরো ম্যাচে পর্তুগালকে ব্যস্ত থাকতে হয় নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই। চলতি আসরে তার চতুর্থ ও ম্যাচের একমাত্র গোলে মরোক্কোকে বিদায় করে দিয়েছে রোনালদোর পর্তুগাল। ‘বি’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানের কাছে একই ব্যবধানে পরাজিত হয় মরোক্কো।
দেশের হয়ে ১৫২ ম্যাচে এটি ছিল রোনালদোর ৮৫তম গোল। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনার করা সর্বোচ্চ (৬) গোলের রেকর্ডেও ভাগ বসালেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সামনে আছেন কেবল ইরানের আলি দাই। দেশের হয়ে ১৪৯ ম্যাচে অংশ নিয়ে রেকর্ড ১০৯ গোল করেন দাই। হাঙ্গেরি ও স্পেনের হয়ে ৮৫ ম্যাচে ৮৪ গোল করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার পুসকাস।
মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বলের দখল, সুযোগ তৈরী এমনকি লক্ষ্যে শটও বেশি ছিল মরোক্কোর। কিন্তু বাঁচা-মরার লড়াইয়ে কাঙ্খিত গোলের দেখাই পায়নি আফ্রিকার দলটি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে হেড থেকে করা রোনালদোর ঐ একমাত্র গোলই ছিল ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক। এরপর আর পাওয়াই যায়নি রোনালদোকে। বাকি ৮৬ মিনিটে মরোক্কোর পোস্টে মাত্র একবারই শট নিতে পারে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। তবে আক্রমণ শানাতে না পারলেও মরোক্কোর মুহুর্মুহূ আক্রমণ ঠেকানোর কৃতিত্ব ফার্নান্ডো সান্তোসের শিষ্যদের দিতেই হয়।
এর আগে দু’দলের একমাত্র দেখায় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ৩-১ গোলে হেরেছিল পর্তুগাল। এই জয় তাই রোনালদের প্রতিশোধও বলা যেতে পারে। হাফ ছেড়ে বাঁচা এই জয়ে ভালোভাবে আসরে টিকিয়ে পর্তুগাল। গ্রæপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করে তারা।
ম্যাচের শুরুটা দারুণ ছিল পর্তুগিজদের। চতুর্থ মিনিটে জোয়াও মৌতিনিওর কর্নার নাগালে পেতে যখন ডি বক্সে সবাই লাফাচ্ছিল, ঠিক তখন সুযোগ সন্ধানী রোনালদো নীচু হয়ে বলের নাগাল নিয়ে দারুণ হেডে তা জালে পাঠিয়ে দেন। চলতি আসরে এটি তার চতুর্থ গোল। রাশিয়ার ড্যানিশ চেরিশেভকে (৩) পেছনে ফেলে এককভাবে এবারের আসরের গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন ৩৩ বছর বসয়ী স্ট্রাইকার।
এর খানিক পর আরো একটি সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়াল তারকা। কিন্তু তার নীচু শট দ্বিতীয় বার ঘেঁসে বেরিয়ে যায়। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় মরোক্কো। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরী করে তারা। কিন্তু আক্রমণের শেষটা ভালো ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ দক্ষতায় ইউনেস বেলহান্দার হেড ফিরিয়ে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিও। এরপরও বিচ্ছিন্ন বেশ কয়েক সুযোগ তৈরী করে তারা। কিন্তু করলে কি হবে, কাঙ্খিত সেই গোলের দেখাই যে পায়নি তারা। ম্যাচ শেষে মরোক্কো কোচ হার্ভে রেনার্ড বলেন, ‘২০ বছর পর আমরা বিশ্বকাপে ফিরেছি এবং দেখিয়েছি আমরা ফুটবল খেলতে পারি।’
রোনালদো অবশ্য ভালো খেলা নয়, গোল পেয়ে ও দলের জয়েই খুশি, ‘আমি খুশি এই কারণে যে আমি গোল করেছি। তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমরা ম্যাচটি জিতেছি। সামনে এগিয়ে যেতে আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে।’
তবে জয় পেলেও সান্তোসকে খুব বেশি সন্তুষ্ট মনে হলো না, ‘এটা বিশ্বকাপ। প্রতিটা দলই শক্ত, যেমনটা ছিল মরোক্কো। তবে আমাদের আরো জেগে উঠতে হবে। আমরা ভালো রক্ষণ সামলেছি, ভালো খেলেছি, তবে আমাদের আরো ভালো হওয়া দরকার।’
আগামী সোমবার ‘বি’ গ্রæপে ইরানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। একই দিন স্পেনের প্রতিপক্ষ মরোক্কো।
পর্তুগাল ১ : ০ মরক্কো

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোনালদো

১১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ