নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলার কে? এই বিতর্কের কোনো শেষ নেই। কেউ বলবে পেলে, আবার কারো চোখে ম্যারাডোনা। সেই একই প্রশ্ন যদি বর্তামন প্রসঙ্গে হয়- কে সেরা? মেসি না রোনালদো? জবাবে ফুটবল বিশ্বও হয়ে পড়ে দুই ভাগে বিভক্ত। হালের সেরা দুই তারকা মেসি-রোনালদো। তাদের ঘরেই ব্যালন ডি অরের দশটি শিরোপা। সমান ৫টি করে জিতেছেন দু’জনেই। দু’জনেই নিজ নিজ ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কোচ জোয়াকিম লো’র জন্য বিশ্বকাপে এই দুই খেলোয়াড়ই হুমকিস্বরূপ। তবে কে সেরা- এই তর্কে না গেলেও গোল করা আর সতীর্থদের দিয়ে গোল করানো দুটি কাজেই রোনালদোর থেকে মেসিকে এগিয়ে রাখলেন জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী এই কোচ। তার মতে, রোনালদোর তুলনায় মেসি অনেক বেশি ‘পরিপূর্ণ খেলোয়াড়’।
রোনালদো ২০১৬ সালে জাতীয় দলকে জিতিয়েছেন ইউরো শিরোপা। আর গত বিশ্বকাপের পর মেসি জাতীয় দলতে তুলেছিলেন তিনটি মেগা ইভেন্টের ফাইনালে। তিনবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে। সর্বশেষ ঘটনাকির চাক্ষুস সাক্ষী এই লো। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসিকে আটকানোর ছক কষতে হয়েছে লো’কে। ৫৮ বছর বয়সী এই কোচ সেই লড়াইয়ে সফল হয়েছিলেন। মেসিদের কাঁদিয়ে জার্মানিকে এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ। রোনালদোর তুলনায় মেসিকে তাই হয়তো একটু বেশি কাছ থেকেই দেখেছেন লো। আর তাই পর্তুগিজ তারকার তুলনায় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকেই এগিয়ে রাখলেন এই জার্মান কোচ। তবে রোনালদোকেও এতটুকু খাটো চোখে দেখছেন না তিনি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘বিল্ড’কে লো বলেন, ‘আমি মেসির সঙ্গে। রোনালদোও অসাধারণ। দারুণ এক পেশাদার। বছরের পর বছর ধরে অবিশ্বাস্য এক গোলমেশিন। কিন্তু মেসি আমার দেখা সবচেয়ে পরিপূর্ণ খেলোয়াড়। একজন দুর্দান্ত টিমম্যান। ১০ বছর ধরে ৩০ থেকে ৪০টি “অ্যাসিস্ট” করার সঙ্গে সে ৫০টি করে গোলও করেছে। সে আট থেকে নয়জন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলতে সক্ষম এবং তার গোলগুলো ভোলা যায় না।’
রাশিয়া বিশ্বকাপে জার্মানিকে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার চ্যালেঞ্জ লোর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে শুধু দুটি দেশ এই কীর্তি গড়তে পেরেছে- ব্রাজিল ও ইতালি। অন্যদিকে বড় টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার ২৫ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামবেন মেসি। রোনালদো অবশ্য দুই বছর আগেই দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন। সেই পারফরম্যান্সটা বিশ্বকাপে অনূদিত করা চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামবেন রোনালদো।
লো’র অধীনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বসেরার মুকুট পরার লক্ষ্যে রাশিয়ায় পা রাখবে জার্মানি। এর আগে ব্রাজিল ও ইতালি শুধু এই কীর্তি গড়েছে। লো’র শিষ্যরা ‘এফ’ গ্রæপে মেক্সিকো, সুইডেন আর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবে। মেসির আর্জেন্টিনা খেলবে আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। আর রোনালদোর পর্তুগাল খেলবে সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেন, মরোক্কো আর ইরানের বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।