Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লা-মাযহাবীদের প্রতিহত করতে প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে সিলেটের ধর্মপ্রাণ জনতা কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে -মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী

সিলেটে আল ইসলাহর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, আজকে প্রতিকুল আবহাওয়ার মাঝে, রামাদানের দিনে, মুসল্লীয়ানে কেরাম যখন ঈবাদতে মশগুল থাকার কথা সেসময় তারা রাস্তায় কেন? নিশ্চয়ই তাদের মনে কোন আঘাত লেগেছে। সে কথা যারা বুঝে না তারা আবাল ছাড়া অন্য কিছু নয়। তিনি বলেন, সেই খারেজিরা আজ লা-মাযহাবী নামে আবির্ভূত হয়েছে। এরাই বাংলা ভাই হয়ে এসেছিল, এরাই আব্দুর রহমান হয়ে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছে। আজকে এদের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। আমাদের সরকার ও প্রশাসনকে বুঝতে হবে, এরাই আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত, স্মৃতিসৌধ, জাতীয় পতাকা, প্রধানমন্ত্রী, এবং জাতীয় দিবসগুলোকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। এরা রাষ্ট্রদ্রোহী, এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, সিলেটে মসজিদের নামে লা-মাযহাবীরা যেসকল আস্তানা গড়েছে তা তাদের জঙ্গীবাদ সৃষ্টির কারখানা। অনতিবিলম্বে তা প্রশাসনকে বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা আজকে আমাদের ঈমান রক্ষার দাবিতে মাঠে নেমেছি। লা-মাযহাবীরা আমাদের কালেমা, নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাতসহ ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর আঘাত এনেছে। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কোন পদক্ষেপ নেয়া না হয় তাহলে সিলেটের ধর্মপ্রাণ জনতা এ ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি উলামা মাশায়েখ পরিষদ বাংলাদেশের আন্দোলনের সাথে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমরা এ আন্দোলনে পিছনে নয় সামনের কাতারে আছি।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমআ বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে পূণ্যভূমি সিলেটে তথাকথিত আহলে হাদিস ও লা-মাযহাবী ফেৎনাবাজদের অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে ঐতিহাসিক সিটি পয়েন্টে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট মহানগরী সভাপতি আলহাজ্জ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আজির উদ্দিন পাশার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমানে আল-ইসলাহর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা একেএম মনোওর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্জ শফিকুর রহমান চৌধুরী, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনূল ইসলাম পারভেজ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন জাহেদ ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম, সিলেট জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ নুমান, কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোজতবা হাসান চৌধুরী নোমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার অজিউর রহমান আসাদ ও উলামা মাশায়েখ পরিষদ নেতা মাওলানা মুফতী আব্দুর রশীদ।
অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আল ইসলাহর সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুস সবুর, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুর রহমান চৌধুরী শিপু, সিলেট মহানগরী সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, পশ্চিম জেলা সভাপতি জাহেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলী হায়দার, পূর্ব জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল খালিক রুহিল শাহ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম,মহানগর আল ইসলাহ নেতা মাওলানা আমিরুল ইসলাম, মাওলানা ফয়জুল হক, মাওলানা সাইফুর রহমান, এ্যডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও মাওলানা আব্দুল আহাদ জিহাদী, মহানগর তালামীযের প্রচার সম্পাদক মারুফ আহমদ ও আজাদ হোসাইন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ