পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ করায় এবং করে তারা বিপদগামী জাহান্নামী -বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ। পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন ইসলাম মানবতার ধর্ম শান্তির ধর্ম। কোন উগ্রতা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয় না। ইসলামের নামে যারা এসব করে ও মদদ দেয় তারা মুসলমানের পর্যায়ে নয় এরা বিপথগামী ও জাহান্নামী এবং দেশ ও জাতির শত্রæ। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে রাজনীতির উর্ধে উঠে এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে। আর এটা করার দায়িত্ব সরকারের।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, পৃথিবীর কোন ধর্মই সন্ত্রাসকে পছন্দ করে না। ইসলামের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। ইসলাম কোন উগ্রতা, জঙ্গিবাদ ও সহিংসতাকে পছন্দ করে না। যারা এ হামলার সাথে জড়িত তারা ইসলাম, মুসলমান ও দেশ-জাতির শত্রæ। তারা বলেন, এ হামলা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। যে কোন মূল্যে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশ-জাতি ও মুসলিম মিল্লাতকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তারা দেশের নাগরিক, বিদেশী কুটনীতিক ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় ঘটনায় আহতদের সুস্থতা ও নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহŸায়ক শাহ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী বলেছেন, গুলশানের জঙ্গি হামলা মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত। এ হত্যাকাÐের মূল হোতারা হচ্ছে পশ্চিমা ইসলামবিরোধী শক্তিসমূহের এজেন্ট। বিশ্বমুসলিম নিধন এবং আসন্ন মুসলিম অভূত্থান ঠেকানোর লক্ষেই এসব জঙ্গি হামলা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা ইসলামবিরোধী শক্তি বিভিন্ন মুসলিম দেশে মুসলমানদের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে মুসলমানদের উপরে এ হামলার দোষ চাপাচ্ছে। ইসলাম বিরোধী শক্তিসমূহ জঙ্গি হামলার মাধ্যমে এদেশে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংস ও সম্পদ লুন্ঠনের লক্ষে বিভিন্ন দেশগুলোতে এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনার মোকাবেলার জন্য আল্লাহর সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং ইনশাআল্লাহ বিজয় আসবে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল হান্নান হাদী বলেন, গণতন্ত্র মানলে সরকারকে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শরীয়ত মানলে ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। কুরআনী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।
জাকের পার্টি
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা আলহাজ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ হামলা শান্তিকামী মানবতার পরে, পবিত্র ধর্ম ইসলামের ওপর ন্যাক্কারজনক ও নির্লজ্জ আঘাত, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান যে কোন প্রকার মানবতাবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাÐের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি এ মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইসলামী ঐক্যজোট
খেলাফতে ইসলামির আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, গুলশানের ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছে। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করলে আগামীতে দেশের জন্য আরো বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, এখন দলাদলি, কাদাছুড়াছুড়ির সময় নয়। দলমত নির্বিশেষে এই সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আর এর উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ স্থায়ী কমিটির সভাপতি বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের ও সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সাথে এ সন্ত্রাসী হামলার যোগসূত্র থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, আর তা যদি হয় এই যড়যন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে বিস্তৃত। এ ধরনের ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের যাতাকলে পিষ্ট আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিসর কিংবা সিরিয়া প্রভৃতি দেশের দিকে তাকিয়ে আমাদের যার পর নাই সচেতন হতে হবে। এছাড়া দেশে যখন গণতন্ত্র দুর্বল হয় তখন অগণতান্ত্রিক অপশক্তিও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক কুটিল অপরাজনীতির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। সরকারের উচিত সকল ভেদাভেদ ভুলে অনতিবিলম্বে একটি জাতীয় সংলাপ আহŸান করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।