পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সবার দৃষ্টি ছিল খুলনার দিকে। ১৫ মে সেখানে কী দৃশ্যের অবতারণা হয়, ফলাফল কী আসে, এ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা মন্তব্যের অন্ত ছিল না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন কতটা সফল হবে, এ ভাবনাও ছিল সবার মধ্যে। অনেকে এ নির্বাচনের মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনের ছায়া দেখতে চেয়েছেন। তাদের মন্তব্য ছিল- গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনের হালহকিকত দেখেই অনুমান করা যাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে। যারা খুলনায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলেন, তারা যে শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোট গ্রহণের দিন খুলনার যে চিত্র গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, তাতে আর যাই হোক এ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।
রিটার্নিং অফিসার যে ফলাফল ঘোষণা করেছেন তাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। ৬৫ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছেন। বিজয়ী তালুকদার আবদুল খালেক নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্তত ৪০টি কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকায় সিল মেরেছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, এমনকি অনেক কেন্দ্রে বিএনপির নির্বাচনী এজেন্টদের প্রবেশ করতেও দেয়া হয়নি। তিনি একশ’টি কেন্দ্রে পুনঃ ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের একটি পর্যবেক্ষক দল খুলনায় ছিল নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে। দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অন্তত ২০টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে কেউ অভিযোগ স্বীকার করছে না। কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার তথ্য গণমাধ্যম ও নানা সোর্সে পাচ্ছি। যেখানেই অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ছুটে যাচ্ছি। ভোটের পরিস্থিতি ভালো।’ (দৈনিক ইনকিলাব, ১৬ মে, ২০১৮)। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসার ইউনুচ আলী বলেছেন, ৫-৬টি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ খুলনা সিটি নির্বাচন ‘চমৎকার’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। ১৫ মে ইসি কার্যালয়ের মনিটরিং সেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।’ বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা আদৌ পোলিং এজেন্ট ছিল কীনা সেটাও দেখার বিষয়’।
বিএনপি এ নির্বাচনকে প্রহসন এবং ভোট ডাকাতির নতুন সংস্করণ হিসেবে আখ্যায়িত করে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনের পরের দিন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কমপক্ষে ১০৫টি কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ওইসব কেন্দ্রে পুনঃভোট গ্রহণের দাবি করেছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকেও খুলনা সিটি নির্বাচনে সরকারি দলের ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি করা হয়েছে। ১৬ মে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তাদের জন্য আরও বড় হার অপেক্ষা করছে।
যে কোনো নির্বাচন নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে এ ধরনের বিতর্ক নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে এটা লালিত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে হেরে গেলে কারচুপির অভিযোগ তোলা এবং প্রকাশ্য ভোট ডাকাতি-জালিয়াতির নির্বাচনকে ‘নজিরবিহীন সুষ্ঠু’ নির্বাচন দাবি করার নজিরের অভাব আমাদের ইতিহাসে নেই। খুলনা সিটি নির্বাচনের যেসব খবরাখবর গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে, তাতে এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। কারণ ভোট কেন্দ্র দখল করে শাসকদলের প্রার্থীর ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে প্রকাশ্যে সিল মারা, বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া, কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ধানের শীষের সমর্থক ভোটারদের ভোট দানে বাধা প্রদান ইত্যাকার সংবাদ গণমাধ্যমগুলো সচিত্রই প্রচার প্রকাশ করেছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন যতই বলুন বিএনপির অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তিনি ওই কথা বলে খুলনা সিটি নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বললে ভুল হবে বলে মনে হয় না। ওই কথা না বলে বিএনপি কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগসমূহ আমলে নিয়ে তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললে তিনি দেশবাসীর প্রশংসা কুড়াতে পারতেন। এখন তিনি সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবেন। কেননা, খুলনা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া আর নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেনের বক্তব্যের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। একটি আরেকটির প্রতিধ্বনি মনে হচ্ছে।
নির্বাচনটি যে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি তার ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, নগরীর খালিসপুর থানার নয়াবাটি হাজী শরীয়তুল্লাহ বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে একটি বাদে সব ভোট কাস্ট হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ১ হাজার ৮১৭, তার মধ্যে কাস্ট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৮১৬টি। ভোট প্রদানের শতকরা হার ৯৯.৯৪। এখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১ হাজার ১১৪ ভোট, আর ধানের শীষ পেয়েছে ৩৭৩ ভোট। একই এলাকার মওলানা ভাসানী বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ১ হাজার ৫০৩, কাস্টিং ভোট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৪৬৭টি। ভোট পড়ার হার ৯৭.৬০। এখানে নৌকা পেয়েছে ৯৯৭, ধানের শীষ ৩৯০। নতুনবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫০৮, কাস্ট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৩৭৮টি। ভোট প্রদানের শতকরা হার ৯১.৩৮। এটা একটি অলৌকিক ঘটনা, যা অবিশ্বাস্য। ভোট দানের এ হারকে অস্বাভবিক বলেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন(অব.)। একটি দৈনিক পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘ভোটের এ হার অস্বাভাবিক। স্থানীয় নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ ভোট পড়তে পারে। কিন্তু ৯০ ভাগ বা তারও ওপরে ভোট পড়া অস্বাভাবিক। বিষয়টি ইসির খতিয়ে দেখা উচিত। (যুগান্তর ১৭ মে ২০১৮)। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বললেও তার উত্তরসুরী সে প্রয়োজন বোধ করেননি। তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে সার্টিফিকেট দিয়ে বসেছেন। ফলে অনুমান করা যাচ্ছে খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং তাদের প্রার্থী যত অভিযোগই তুলুক, নির্বাচন কমিশন তাতে কর্ণপাত করবে না। তারা একটি সুন্দর(?) নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পেরে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন। কিন্তু এতে যে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা আরেক পয়েন্ট নিচে নামল তা উপলব্ধি করার মতো বোধশক্তি বোধকরি তাদের নেই।
নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নিলেও বিএনপি এ ধরনের ফলাফল কেন হলো তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলে সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে। খুলনার নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য সরকারি দলের ভোট ডাকাতির পাশাপাশি আরো পাঁচটি কারণকে চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হচ্ছে- এক. ভোটের দিন দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের মাঠে না থাকা। দুই. প্রশাসনের নিরব ভূমিকা, যার কারণে সরকারি দলের কর্মীরা অবাধে ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে পেরেছে। তিন. স্থানীয় নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের কোন্দল। চার. দলীয় মেয়রের উন্নয়ন কাজে ব্যর্থতা। পাঁচ. নেতাকর্মীদের গ্রেফতার আতঙ্কে দূরে থাকা। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের এ উপলব্ধি অনেকাংশেই যথার্থ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ভোট গ্রহণের দিন নেতারা অনেকেই মাঠে ছিলেন না। ফলে আওয়ামী লীগের উৎপাতকে প্রতিহত করার জন্য সাধারণ নেতাকর্মীরা সাহস পায়নি। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন পেন্ডিং মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করেছে, তাতে ছোট বড় সব নেতাই গ্রেফতার আতঙ্কে ভূগছিলেন।
নির্বাচন কেমন হয়েছে, এটা জানতে এই নিবন্ধের লেখক যোগাযোগ করেছিলেন খুলনার দুইজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে। সঙ্গত কারণেই তারা তাদের নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছেন। তাই তাদের নাম এখানে অনুল্লেখ্যই থাকল। তারা দু’জনেই বলেছেন, আপাত দৃষ্টিতে নির্বাচনটি অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ ছিল এটা ঠিক। তবে, শাসক দল এখানে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। বেশ ক’টি কেন্দ্রে প্রাকাশ্য জাল ভোট মারা হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে তারা ভিন্ন কৌশলে কাজ সেরেছে। বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে রেখে তারা ভেতরে পাইকারি সিল মেরেছে নৌকা প্রতীকে। বাইরে পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু বুথের ভেতরটা দখলে ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসাররা ছিলেন অসহায়, কেউবা আগ বাড়িয়ে করেছেন সহযোগিতা।
এটা ঠিক, খুলনা সিটি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা হয়নি। এরও একটি কারণ আছে। সহিংসতা বা সংঘর্ষ তখনই হয়, যখন দুই পক্ষ সমান শক্তিশালী ও মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। খুলনার নির্বাচনে অর্থাৎ ভোটের দিন বিএনপি নেতাকর্মীরা শক্ত কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে তারা বেশিরভাগ ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। ফলে মাঠ দখলে নিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তেমন বেগ পেতে হয়নি। যারা সাহস করে কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই হুমকির মুখে অকুস্থল ত্যাগ করেছেন, বাকিরা এক ভিন্ন ধরনের নির্বাচনের নিরব দর্শক হয়ে সময় কাটিয়েছেন।
খুলনা সিটি নির্বাচন বিএনপির জন্য আরেকটি শিক্ষা রেখে গেল। সেটি হলো, জনসমর্থন জনপ্রিয়তা যতই তুঙ্গে থাকুক, দলের সাংগঠনিক শক্তি যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে ফলাফল করায়ত্ত¡ করা কঠিন। খুলনার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম মঞ্জু উপযুক্তই ছিলেন। জনসমর্থনও ছিল জিতে আসার মতো। নানা কারণে জনমনে সৃষ্ট সরকারবিরোধী মনোভাব ছিল তার জন্য বাড়তি প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু ভোটের দিন দলীয় নেতাকর্মীরা শক্ত কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় আওয়ামী লীগ এক রকম বিনা যুদ্ধে মাঠের দখল নিতে পেরেছে।
রাজনৈতিক পর্যক্ষেকদের মতে, সারাদেশে জনগণের মধ্যে সরকারবিরোধী একটি মনোভাব দেখে বিএনপি পুলকিত হলেও এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা তারা কতটা করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনেও যদি তারা একইভাবে মাঠ ছেড়ে দেয় তাহলে কাঙ্খিত ফলাফল হস্তগত করা কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং এ বিষয়টি মাথায় রেখে বিএনপির আগামী দিনের পরিকল্পনা প্রণয়নে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে দলটির শুভানুধ্যায়ীরা মনে করছেন।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।