Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ৯:৫৮ এএম

ইসরাইলি সৈন্যদের নির্বিচার গুলিতে সোমবার ৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি দূত বলেছেন, গাজায় যা ঘটছে তাকে নিরপরাধ জনগোষ্ঠীর উপর ইসরাইলের এক বর্বরোচিত সন্ত্রসী হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। খবর বিবিসির।

ইসরাইলে যুক্তরাষ্টের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে এই ব্যাপক হত্যাকান্ড ঘটলো গাজায়। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। দু'হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছে।

২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর একদিনে এতো বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি। মিসর অভিযোগ করেছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে। অন্যদিকে তুরস্ক এই ঘটনাকে হত্যাযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছে।


জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ বিন রাদ জেইদ আল হুসেইন বলেছেন, যারা এই জঘন্য মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজা-ইসরাইল সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু ইউরোপসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুসালেমে তারা গড়ে তুলেছে দু'লাখ ইহুদির জন্যে বহু বসতি। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ।

একসময় জেরুসালেমে বহু দেশের দূতাবাস ছিলো। কিন্তু ১৯৮০ সালে ইসরাইল জেরুসালেমকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করার পর বহু দেশ সেখান থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়।

কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আদেল হালাক নামে জেরুসালেমের এক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা বলেন, এই পূণ্য ভূমিতে বহু নবী এসেছেন। তারা আমাদের জন্যে বহু বাণী ও ধর্ম নিয়ে এসেছেন। ট্রাম্প নামে আমাদের আর কোন নবীর দরকার নেই। আমেরিকার শক্তি তো সবখানেই আছে। আমাদের এখানে তার দরকার নেই।
জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এটিকে ইসরায়েলের জন্য একটি 'গৌরবময়' দিন বলে বর্ণনা করেছেন।

অন্যদিকে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন জেরুসালেমই যে ইসরাইলের রাজধানী এটি স্বীকার করে নেয়ার ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে ব্যর্থতা দেখা গেছে। তবে তিনি ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্য শান্তির ব্যাপারে অনেক আশাবাদী।

ফিলিস্তিনিরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়া আন্তর্জাতিক আইনের বিরাট লঙ্ঘন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাজা

৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ