Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দলিতদের মনোবল নষ্ট করেছে সুরক্ষা আইন সংক্রান্ত রায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ৮:২৩ পিএম

ভারতে দ্য শিডিউলড কাস্ট অ্যান্ড দ্য শিডিউলড ট্রাইবস প্রিভেনশন অব অ্যাট্রোসিটিজ অ্যাক্ট (তফশিলি জাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সংরক্ষণ আইন) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সা¤প্রতিক রায় দলিতদের মনোবল ও আস্থা নষ্ট করেছে উল্লেখ করে স্থগিতাদেশ চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনও নিয়ম বা নির্দেশিকা তৈরি করতে পারে না যা সংসদে পাস হওয়া আইনের সঙ্গে বেমানান। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের জেরে জীবনহানি পর্যন্ত হয়েছে বলে জানিয়ে বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর দাবিও করেন তিনি। তবে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এ কে গোয়েল ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০ মার্চের রায়ের পক্ষে কথা বলেছে। বেঞ্চ জানায়, আদালত শতভাগ তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের স্বার্থরক্ষা ও তাদের ওপর অত্যাচারে দোষীদের স্বার্থরক্ষার পক্ষে। বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী আইনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের সা¤প্রতিক রায়ে স্থগিতদেশ চান কেন্দ্রের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আবেদনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রায়ে তফসিলি আইনের কঠোর ধারাগুলি শিথিল করে দেওয়া হয়েছে, ফলে দেশের বড় ক্ষতি হয়েছে। তফসিলি সমাজে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, নষ্ট হচ্ছে স¤প্রীতি। ওই রায় ঘোষণার পর দলিতদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সহিংসতায় আটজন নিহত হয়েছে। সরকার সর্বোচ্চ আদালতে বলে, তাদের ওই রায় তফসিলিদের ব্যাপারে সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করবে। আইনের আগের ধারাগুলি ফিরিয়ে আনা হোক বলেও আবেদন জানানো হয়। তবে ২০ মার্চ পরবর্তী প্রাণহানির ঘটনায় আদালতের ওই রায়ের কোনও ভূমিকা নেই বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দলিত

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ