Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দলিতদের ভারত বনধ্, সহিংসতা

অনেক জায়গায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে জমায়েত, বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সেবাও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৮:৫৮ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

ভারত বনধ্ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। এখন পর্যন্ত বিহারেই ১২ জন আহত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে জমায়েত। বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবাও। গত ২০ মার্চ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধের আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এখন থেকে আর নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তফশিলি জাতি-উপজাতির উপর অত্যাচারের কোনও মামলা দায়ের করার আগে সেই ঘটনা ডিএসপি পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। এছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত কোনও সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২ এপ্রিল দলিত সংগঠনগুলোর ডাকা ভারত বন্্ধ কর্মসূচি ডাকইদলে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এদিন বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়। এদিনই আবার কেন্দ্রীয় সরকার রায়টির বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন পেশ করে ২০ মার্চের নির্দেশ খতিয়ে দেখার আবেদন জানায়। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে আরা শহরে ভারত বন্ধ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জনেরও বেশি আহত হন। পুলিশ এসময় লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাটনা, বেগুসারাই, লক্ষিসরাই, মুজাফফরপুর, ভোজপুর, শেখপুরা, নাওয়াডা, দারভাঙ্গাতে শত শত মানুষ রাস্তা অবরোধ করেছে। আটকে গেছে ট্রেন, মার্কেটও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে উত্তর প্রদেশে শাহারানপুর, মুজাফফরপুর, শামলি ও হরপুরে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফিরোজাবাদে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলও। মধ্যপ্রদেশে গত সপ্তাহে ছয়জন নিহত হওয়ার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমাবেশ।একই অবস্থা রাজস্থানেরও। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও ঝারখন্ডে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ