Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্যারিস-দিল্লি-ক্যানবেরার মধ্যে কৌশলগত ঐক্য চান ম্যাখোঁ

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে নতুন একটি কৌশলগত ঐক্য গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখেঁাঁ। অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ ‘প্যারিস-দিল্লি-ক্যানবেরা অক্ষ’ প্রতিষ্ঠার ডাক দেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীকে ডুবোজাহাজ সরবরাহে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল ফ্রান্স। তারই ধারাবাহিকতায় দুই দেশের সামরিক ঐক্য আরও জোরদার হবে এ আশা নিয়েই দেশটি সফর করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। কাছাকাছি ধরনের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ ঐক্য থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন ৪০ বছর বয়সী ম্যাখোঁ। “আমরা অবুঝ নই। আমরা যদি চীনের কাছে সমান অংশীদারের সম্মান ও মর্যাদা পেতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই সংগঠিত হতে হবে,” অস্ট্রেলিয়ার নৌ ঘাঁটিতে দেওয়া ভাষণে বলেছেন ম্যাখোঁ। নতুন এই ‘প্যারিস-দিল্লি-ক্যানবেরা অক্ষ’ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের যৌথ লক্ষ্য পূরণের চাবিকাঠি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই চীন সফর করেছিলেন ম্যাক্রোঁ। বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত ‘সিল্ক রোড’ উদ্যোগ কেবল ‘একমুখী হতে পারে না’ বলেও সেসময় সতর্ক করেছিলেন তিনি। মার্চে ভারত সফর করে তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে রেখেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ফরাসী যুদ্ধবিমান কিনে নয়াদিল্লি আগেই জাতিসংঘের স্থায়ী এ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদারের পথ উন্মোচন করেছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ফরাসী প্রেসিডেন্টের এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্সের ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থও রয়েছে। দেশটির নিয়ন্ত্রণে থাকা দ্বীপ রিইউনিয়ন ও মায়োতের অবস্থান ভারত মহাসাগরে; প্রশান্ত মহাসাগরে আছে নোউমেয়া, ওয়ালিস অ্যান্ড ফুতুনা ও ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া। সা¤প্রতিক সময়ে স্বতন্ত্রভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক করেছে। বেইজিং তার আন্তর্জাতিক দাতব্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রভাব বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। যদিও শুরু থেকেই চীন এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্যারিস

৮ নভেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ