পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও হামলার ঘটনায় প্রায় দশ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে ছয় মুরব্বির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কাকরাইল মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মসজিদে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে দুটি সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ১ মে পর্যন্ত মাওলানা সা’দ পন্থি সৈয়দ ওয়াসিফ ও কাকরাইল মসজিদের খতিব ও মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জুবায়ের কাকরাইলের বাহিরে থাকবেন। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো- দুই গ্রুপের দুই দুইজন করে চারজনকে সাময়িকভাবে কাকরাইলে আসা-যাওয়া না করতে বলা হয়েছে। সাময়িকভাবে কাকরাইল মসজিদে না যাওয়ার নির্দেশ পাওয়া মুরব্বিরা হলেন- আব্দুল্লাহ মনছুর, ড. এরতেজা হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান ও ড. আজগর। এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বহিরাগত সবাইকে বের করে দিয়েছি। মসজিদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে। এ বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।’ তিনি জানান, বাইরে থেকে কেউ এসে মসজিদে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে নামাজ আদায় করা যাবে। মাওলানা জুবায়রের ছেলে হানজালা জানান, স্বরাষ্টমন্ত্রী দেশে আসার পর তাবলিগ জামাতের নেতাদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা হবে।
গতকাল শনিবার ফজরের পর ঢাকার নয়া বাজার এলাকার একটি মসজিদে সাদ’পন্থিরা বৈঠক করে কাকরাইল মসজিদে গিয়ে নিয়মিত মাসওয়ারা চলাকালে হামলা চালানো হয়েছে বলে মাওলানা জুবায়ের-এর ছেলে হানজালা দাবী করেন। শনিবার সকালে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ-জামাতের সাদপন্থী ও হেফাজতপন্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর মসজিদের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাবলিগ জামাতে অংশ নেয়ার জন্য আসার সাধারণ মুসল্লিসহ দুই পক্ষকেই বের করে দিয়ে মসজিদ ফাঁকা করে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে। বিশ্ব ইজতেমার সময় তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংকট আরও ঘনিভূত হয়। সা’দের বক্তব্য নিয়ে দুই পক্ষ অন্তত চারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। এরপরও দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তাবলিগ-জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।