Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শৌচাগার ব্যবহারে এত অনীহা কেন ভারতে

দেয়ালে ঘেরা বদ্ধ জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে গেলে গরম লাগে, গ্যাসে-দুর্গন্ধে বমি-বমি পায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে কয়েক কোটি শৌচাগার নির্মাণ করা হলেও এখনও দেশটির বেশিরভাগ মানুষ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছে। বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও তাদের শৌচাগারমুখী করা যাচ্ছে না। ভারতের অন্যতম বৃহৎ রাজ্য মহারাষ্ট্রে সরকার ঘোষণা করেছে- রাজ্যে কাউকে আর খোলা আকাশের নিচে মল-মূত্র ত্যাগ করতে হবে না। কারণ গোটা রাজ্যে সবার হাতের নাগালে শৌচাগার বানানোর কাজ শেষ হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনবিশ জানিয়েছেন, গত সাড়ে তিন বছরে মহারাষ্ট্রে অন্তত ৫৫ লক্ষ নতুন শৌচাগার বানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মতো ভারতে অনেক রাজ্যই গত কয়েক মাসে নিজেদের ‘ওপেন ডিফেকেশেন ফি’ বা ওডিএফ বলে ঘোষণা করেছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বহু জায়গাতেই শৌচাগার যাওয়ার সুযোগ থাকা সত্তে¡ও ভারতীয়রা এখনও কিন্তু উন্মুক্ত জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতেই বেশি পছন্দ করছেন। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? কেন শৌচাগার বানানোর পরও মানুষ সেখানে যেতে চাইছেন না? ভারতে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু হয়েছিল, তার আওতায় দেশ জুড়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক কোটি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরও ভারতীয়দের উন্মুক্ত জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করার অভ্যাস পুরোপুরি পাল্টানো যায়নি। কেন তারা শৌচাগারে যাচ্ছেন না, এ প্রশ্নের জবাবে অনেকেই বলেছেন- দেয়ালে ঘেরা বদ্ধ জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে তাদের ভাল লাগে না। গরম লাগে, গ্যাসে-দুর্গন্ধে নাকি বমি-বমি পায়। গ্রামীণ নারীদের অনেকের আবার বলেছেন পানির অভাবের কথা। উত্তরপ্রদেশের এক নারী বলেন, ক্ষেতে গেলে এক লোটা পাই কাজ সারা যায়- কিন্তু শৌচাগারে গেলে লাগে পুরো এক বালতি পানি। এলাকায় পানির এত সমস্যা যে শৌচের জন্য এত পানি খরচ করা যায় না। কাজেই ভোরবেলায় কেউ ওঠার আগে আমি মায়ের সঙ্গে গিয়ে ক্ষেতেই কাজ সেরে আসি। গ্রামীণ স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করেছেন সুস্নাত চৌধুরী, তিনিও বলছিলেন- একটা শৌচাগার বানানোর পর তার প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ অনেক সময়ই থাকে না। আর সেটাই মানুষকে শৌচাগার থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আমি শৌচাগার নামে একটা ঘর তাকে বানিয়ে দিলাম। কিন্তু সেই ঘরটা পুরোদস্তুর ব্যবহারযোগ্য থাকার জন্য আর যে সুবিধাগুলো দরকার মানে ধরুন নর্দমা, পানির, জীবাণুনাশক ইত্যাদি- সেগুলো কি সেখানে আদৌ থাকছে? মহারাষ্ট্রের মতো অনেক রাজ্যই হয়তো লক্ষ লক্ষ শৌচাগার বানিয়ে ফেলেছে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেগুলোকে পরিচ্ছন্ন রেখে মানুষকে সেখানে নিয়ে যাওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • কাসেম ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:৪২ এএম says : 0
    কিছু বলার নাই
    Total Reply(0) Reply
  • SM NUR ISLAM ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৫১ এএম says : 0
    Sanitation oder dorkar nai, a jonno tara Baire mol tagg kore.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মোশাররফ হোসেন ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:১৩ পিএম says : 0
    ভারতীয়রা যে এখনও একটা ............ জাতি তারই উদাহরণ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৌচাগার

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ