প্রশ্ন : এক্ষেত্রে মুক্তাদীগণ যদি বিভক্ত হয়ে যান। কিছুসংখ্যক বলেন-চার রাকাত আবার কিছুসংখ্যক বলেন, তিন রাকাত হয়েছে; তাহলে কী করতে হবে?
উত্তর : এমতাবস্থায় যাদের সংগে ইমাম একমত হবেন, তাদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হবে। চাই সেভাগে একজনই হোক না কেন। (আলমগীরী)
প্রশ্ন : এক মুক্তাদীর যদি পূর্ণ একীন হয় যে, ইমাম তিন রাকাত পড়েছেন, আর সকল লোক এবং ইমামের মনে সন্দেহ হয় যে, তিন নাকি চার রাকাত, তাহলে কী করা হবে?
উত্তর : এই অবস্থাতে ঐ এক মুক্তাদীর একীনের কারণে এবং পরস্পর বিরোধীতা থেকে বাঁচার জন্যে পুনরায় নামায আদায় করে ফেলাই উত্তম।
প্রশ্ন : চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযের দ্বিতীয় রাকাআতে ভুলবশতঃ বৈঠক না করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেলে কী করতে হবে?
উত্তর : দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর আর বসা যাবে না; যথারীতি বাকী দুই রাকাআত সমাপ্ত করে সাহু সিজদাহ দিতে হবে। তবে শেষ রাকাআতে এরকম হলে তৎক্ষণাত বসে যেতে হবে এবং সাহু সিজদাহ করে নামায সমাপ্ত করতে হবে।
প্রশ্ন : যে ব্যক্তি ইমামের সংগে তিন, দুই অথবা এক রাকাত নামায আদায় করেছে; সে কি জামাআতের সওয়াব পাবে?
উত্তর : হাঁ, পাবে।
প্রশ্ন : জামাআতে নামাযের জন্যে কোন রাকাতের কোন্ অবস্থায় শামিল হলে ঐ রাকাতটি পাওয়া গেছে বলে ধরে নিতে হবে?
উত্তর : ঐ রাকাতের রুক‚র মধ্যে ইমামকে পেতে হবে।
প্রশ্ন : চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নতের দুই রাকাতে শেষ করার কারণে কয় রাকাত কাযা করবে, দুই না চার?
উত্তর : চার রাকাত কাযা করবে। আর ঐ দুই রাকাত নফল হিসাবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন : উক্ত সুন্নতগুলো কখন আদায় করা যাবে?
উত্তর : ফরয নামাযের পর আদায় করা যাবে। তবে ফজরের সুন্নত সূর্যোদয়ের পর আদায় করা উত্তম। আসর এবং এশার সুন্নত মুআক্কাদাহ নয়, তাই এগুলোর কাযা করতে হবে না।