পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশি তথা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের প্রতিটি শহরে-নগরে, গ্রামে-গঞ্জে বাংলা নববর্ষ আনন্দ উল্লাসে উদযাপিত হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলা নববর্ষ সম্পূর্ণরূপে ইসলামিক সন তথা হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে প্রণীত হলেও এখন তা জ্ঞানে অপরিপক্ব মানুষগুলো সম্পূর্ণরূপে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে পালন করে থাকে।
বাংলা সনের উৎস: ‘সন’ ও ‘তারিখ’ দুটিই আরবী শব্দ। প্রথমটির অর্থ হল ‘বর্ষ’ বা ‘বর্ষপঞ্জী’ এবং অন্যটির অর্থ ‘দিন’। ‘তারিখ’ বলতে আবার ইতিহাসও বোঝায়। ‘সাল’ হচ্ছে ফারসী শব্দ, যার অর্থ হলো বছর। বাংলা সনের সূত্রপাত হয় আরবী হিজরী সনের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ মহানবী সা. এর মহান স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক হিযরতভিত্তিক হিজরী সন অবলম্বনেই এই বাংলা সন প্রণীত হয়েছে। জন্ম লগ্ন থেকেই বাংলা সন তারুণ্যদীপ্ত হয়ে ওঠে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলা সনের শৈশব উত্তীর্ণ হয়নি। জন্মের পরেই তার বয়স হয় ৯৬৩ বছর। অর্থাৎ বাংলা সনের প্রথম বছরটি যখন শেষ তখন সে ৯৬৪ বছরের এক সবল, স্বাস্থ্যবান তরুণ। ‘ইংরেজি’ তথা ‘গ্রেগরিয়ান’ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সা. এর মক্কা থেকে মদীনায় ঐতিহাসিক হিজরত অবলম্বন করে প্রবর্তিত। এই হিজরী সন শুরু হয় ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুলাই তারিখ থেকে।
মোঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে তারই নির্দেশে ৯৯৮ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সনের প্রবর্তন হয়। বাদশাহ আকবর ৯৬৩ হিজরীতে অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রæয়ারি দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ৯৬৩ হিজরী অবলম্বন করেই বাংলা সন চালু করা হয়। অর্থাৎ ১, ২, ৩ এভাবে হিসাব না করে মূল হিজরী সনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। মহানবী সা. স্বয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরী সন চালু করেননি। এটি প্রবর্তন করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর বিন খাত্তাব রা. ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে। হিজরী সনের ক্ষেত্রে যে রকম হিজরতের দিন ও মাস ১২ রবিউল আউয়াল সুনির্দিষ্টভাবে অবলম্বন না করে শুধুমাত্র সালটিকেই (৬২২ খ্রি.) সংরক্ষণ করা হয়। বাংলা সনের ক্ষেত্রেও তেমনি সম্রাট আকবরের রাজ্যাভিষেকের দিন ও মাস (১৪ ফেব্রুয়ারি) অবলম্বন না করে শুধুমাত্র বছরটি (৯৬৩ হি.) সংরক্ষিত হয়। হিজরী সনের প্রথম দিন হলো পহেলা মহররম। বাংলা সনে তা পরিবর্তন করে পহেলা বৈশাখ করা হয়। ৯৬৩ হিজরীতে মহররম মাস ও বৈশাখ মাস একই সঙ্গে আসে। ফলে, তদানীন্তন শকাব্দের প্রথম মাসটি গ্রহণ না করে হিজরী সনের প্রথম মাস মহররমের অর্থাৎ বৈশাখ মাসকেই বাংলা সনের মাস হিসেবে পরিচিহ্নিত করা হয়।
হিজরী সন ও বাংলা সনের মধ্যে পার্থক্য: বাংলা সন হিজরী সনভিত্তিক হলেও ‘বাংলা সন’ ও ‘হিজরী সন’ এর মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। ‘হিজরী সন’ হচ্ছে চান্দ্র সন এবং ‘বাংলা সন’ হচ্ছে সৌর সন। ফলে, একই সময়কাল থেকে যাত্রা শুরু করলেও ( ৬২২ খ্রিস্টব্দের ১৬ জুলাই তারিখে) ‘হিজরী’ ও ‘বাংলা’ সন দুটির বয়সে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত। বর্তমানে এই পার্থক্য এসে দাঁড়িয়েছে ১৪ বছর ৬ মাস ২৬ দিন (১ বৈশাখ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত)। হিজরী সনের হিসাব অনুযায়ী এ বছরটি হলো ১৪৩৯ হিজরী। কিন্তু বাংলা সনের হিসেবে এটি হচ্ছে ১৪২৫। এই ১৪ বছর ৬ মাস ২৬ দিন বছরের পার্থক্য অতি স্বাভাবিক। কারণ চান্দ্র বছর এবং সৌর বছরের সময়কাল সমান নয়। দুটির মধ্যে পার্থক্য প্রায় এগারো দিনের। সৌর বছর হয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ সেকেন্ড। চান্দ্র বছরের সময়কাল সৌর বছর অপেক্ষা প্রায় ১১ দিন (১০ দিন ২০ ঘন্টা ৭ মিনিট) কম হওয়ায় ‘হিজরী সন’ ‘বাংলা সন’ অপেক্ষা ১০ দিন ২০ ঘন্টা ৭ মিনিট প্রতি বছর এগিয়ে যায়। ফলে ৯৬৩ হিজরী সন থেকে ১৪২৫ বাংলা সনের মধ্যে এই পার্থক্য।
বাংলা সন প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট: সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হতো। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হতো। এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেব পালিত হতো। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। কৃষকদের তখন ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হতো। ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করতেন। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হতো। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জীতে সংস্কার করার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে প্রচলিত হিজরী সনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ জ্যোতিষী আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী চিন্তা-ভাবনার পর যে সনসমূহের উদ্ভাবন করেন তাদেরই একটি হচ্ছে ‘বাংলা সন’। ফসলের মওসুমের কথা বিবেচনায় রেখে এই নতুন সনের প্রবর্তন হয় বলে একে ‘ফসলী সন’ বলা হয়। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করাতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হলো বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে।
বাংলা মাস ও বারের নামের উৎস: বাংলা সন মূলত, ইসলামী হিজরী সনের উপর নির্ভরশীল হলেও শকাব্দের নিকটও সে কিঞ্চিৎ ঋণী। বাংলা সনে আমরা বর্তমানে দিন ও মাসের যে নামগুলো ব্যবহার করি সেগুলো শকাব্দ থেকেই গৃহীত। সপ্তাহের নামগুলো রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ইত্যাদি গৃহীত হয়েছে গ্রহপুঞ্জ ও সূর্য থেকে। মাসের নামগুলো, যেমন বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ইত্যাদি আমরা পেয়েছি নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে, নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নাম নিম্নবির্ণত নক্ষত্রসমূহের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছ। ১. বৈশাখ- বিশাখা ২. জৈষ্ঠ্য- জ্যেষ্ঠা ৩. শ্রাবণ- শ্রাবণা ৪. ভাদ্র- ভাদ্রপদা ৫. আশ্বিন- আশি^নী ৬. কার্তিক- কার্তিকা ৭. অগ্রহায়ণ- অগ্রহায়ণ ৮. পৌষ- পৌষা ৯. মাঘ- মঘা ১০. ফাল্গুন- ফাল্গুনী ১১. চৈত্র-চিত্রা ‘ফসলী সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল- কারওয়াদিন, আরদিভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুর, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।
স¤্রাট আকবরের সময় মাসের প্রতিটি দিনের জন্য পৃথক পৃথক নাম ছিল। স¤্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এ জটিল প্রথা পরিহার করে সপ্তাহের সাতটি দিনের জন্য সাতটি নাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ব্যবহৃত ঐ সাতটি নামের সঙ্গে রোমান সাপ্তাহিক নামগুলোর সাদৃশ্য সহজেই পরিলক্ষিত। অনুমিত হয় যে, বাদশাহ শাহজাহানের দরবারে আগত কোন ইউরোপীয় (সম্ভবত পর্তুগীজ) পন্ডিতের পরামর্শক্রমে মূলত গ্রহপুঞ্জ থেকে উদ্ভুত। নিম্ন বর্ণিত নামগুলোর প্রচলন করা হয়: ১. রবি (সূর্য) বা সূর্য থেকে, ২. সোম (চন্দ্র) Monan অর্থাৎ Moon থেকে, ৩. মঙ্গল Mars বা মঙ্গল গ্রহ থেকে, ৪. বুধ Mercury বা বুধ গ্রহ থেকে, ৫. বৃহস্পতি Jupiter বা বৃহস্পতি গ্রহ থেকে, ৬. শুক্র Frigg থেকে এবং ৭. শনিবার Saturn বা শনি গ্রহ থেকে।
বাংলা অধিবর্ষ: ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাস্থ বাংলা একাডেমি কর্তৃক বহু ভাষাবিদ জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর তত্তাবধানে বাংলা সনের যুগোপযোগী সংস্কার সাধিত হয়। অধিবর্ষের (Leap year) ব্যবস্থাসহ দিন ও তারিখাদির অনিয়ম সংশোধন করে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
১. মোঘল আমলে বাদশাহ আকবরের সময়ে হিজরী সন ভিত্তিক যে বঙ্গাব্দ প্রবর্তন করা হয় তা থেকে বছর গণনা করতে হবে।
২. বাংলা মাস গণনার সুবিধার্থে বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত প্রতি মাস ৩১ দিন হিসেবে এবং আশি^ন থেকে চৈত্র পর্যন্ত ৩০ দিন পরিগণিত হবে। সংশোধিত এই বাংলা সন এ দেশ কিন্তু সহজে গ্রহণ করেনি। গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলো যে রকম গড়িমসি করেছিল, বাংলা একাডেমি কর্তৃক সংশোধিত ‘বাংলা সন’ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও কিন্তু কিছুটা দ্বিধা-দ্ব›দ্ব দেখা যায়। ফলে, সংশোধনের প্রায় দুই যুগ পরে ১৯৮৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলা সনের সংশোধিত রূপ স্বীকৃত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা সনের প্রথম মাস কোনটি ছিল সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ মতানৈক্য রয়েছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিক অভিমত প্রকাশ করেন যে, অগ্রহায়ণ হলো অগ্রাধিকার বিধায়, অতীতে আমাদের নববর্ষের দিন ছিল পহেল অগ্রহায়ণ। অর্থাৎ ‘হায়ণ’ বা বছরের প্ররম্ভে যায় যে মাস তার প্রথম দিন ছিল আমাদের নববর্ষের দিন।
কিন্তু ৯৬৩ হিজরীতে যখন ‘ফসলী সন’ বা ‘বাংলা সন’ শুরু করা হয়, তখন হিজরী সনের প্রথম মাস মহররম বৈশাখ মাসের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে, এ দেশে ১লা বৈশাখই ‘নওরোজ’ বা ‘নববর্ষ’ হিসেবে পরিচিহ্নিত হয়। উল্লেখ্য, ‘ইংরেজী’ তথা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রেও প্রথমে ১লা মার্চ ছিল ‘নিউ ইয়ারস ডে’। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে পহেলা জানুয়ারি সে সম্মানজনক স্থান দখল করে নেয়।
লেখক: আরবি প্রভাষক, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, সারুলিয়া, ডেমরা, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।