বাংলা সন ইসলামী ঐতিহ্যেরই অংশ
বাংলাসন ইসলামী ঐতিহ্যজাত। এ সনের উদ্ভাবন ঘটেছে হিজরিসন থেকে। এর উদ্ভাবন, প্রবর্তন সবই মুসলমানরা করেছে।
পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ। এ দিনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি এক প্রাণে, এক সুরে মেতে ওঠে উৎসবের আমেজে। কিন্তু নাগরিক জীবনে পহেলা বৈশাখ পালনের যে ধারা আমরা সৃষ্টি করেছি বা করছি তা আমাদের সংস্কৃতি নয়। হাজার বছরের নববর্ষ পালনের ঐতিহ্য নয়। পহেলা বৈশাখকে তরুণ-তরুণীরা উৎসবের নামে, শোভাযাত্রার নামে যেভাবে অবাধ মেলামেশার উপলক্ষ বানিয়েছে তা কোনোভাবেই মুসলিম সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। পাশ্চাত্য ও ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলো এভাবেই মুসলিম তরুণদের অবাধ উন্মত্ততার দিকে ঠেলে দিয়ে লক্ষ্যচ্যুত করে ফেলছে। এই অবাধ মেলামেশার ফলে আমাদের সমাজে নানা প্রকার অবক্ষয়, অপরাধ বাড়ছে। বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে এর প্রধান কারণ হিসেবে ধরা পড়বে নারী-পুরুষের অবাধ ও অবৈধ মেলামেশা।
গত বছর পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাকিব হোসেন ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাভিলা তাবাচ্ছুম ঘনিষ্ঠ হয়ে হাঁটছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা হলে কিছুটা লজ্জিত হয়ে রাকিব বলেন, ঠিক নয়; তবে আজ পহেলা বৈশাখ বলে টিভি চ্যানেলের কল্যাণে আপনারা এই সাধারণ দৃশ্য দেখে হয়তো আপত্তি করছেন। কিন্তু এই ঢাবি ক্যাম্পাস ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বছরের বাকি ৩৬৪ দিন ২৪ ঘণ্টা তরুণ-তরুণীরা যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে থাকে তা নিয়ে আপনারা কথা বলেন না কেন? বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এই এলাকায় এমন কোনো আপত্তিকর কাজ নাই, যা হয় না। প্রশ্ন তুললে গোটা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তোলা উচিত। রাকিব হয়তো ঠিকই বলেছে। কিন্তু তার পরও কথা থেকে যায়।
পহেলা বৈশাখে আমরা যারা বাঙালীয়ানার প্লাবনে ভেসে যাই, মাত্র এক সপ্তাহ পরে তাদের বৈশাখ মাসের তারিখটি বলতে বললে মাথার চুল ছিঁড়তে হবে। আমাদের জাতীয় জীবনে এই একটি দিন ছাড়া বাংলা সনের কোনো ব্যবহার চোখে পড়ে না। ইরান সফরকালে এ লেখক তেহরানে ইরানীদের সাথে কথা প্রসঙ্গে ঈসায়ী তারিখের প্রসঙ্গ এলে তাদের কেউই মোবাইল না দেখে, ক্যালেন্ডার না দেখে বলতে পারেনি। ইরানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল কাজে ফার্সি সন ব্যবহার করা হয়। তাদের নওরোজ বা নববর্ষ উৎসব পৃথিবী বিখ্যাত। ইতিহাস ও উৎযাপন সব বিচারেই তা বাংলা নববর্ষের থেকে অনেক উন্নত। কিন্তু সেই নওরোজ উৎসব পুরোটাই পালিত হয় ইরানী সংস্কৃতিকে ধারণ করে। এ উৎসবের যেকোনো একটি বিচ্ছিন্ন ছবি দেখলেও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ তাকে ইরানের নওরোজ উৎসব বলে চিহ্নিত করতে পারবে।
কিন্তু বাংলা নববর্ষে মুসলিম ছেলেরা ধুতি পরে, ললাটে তিলক এঁকে বাঙালি সেজে যেভাবে নাচগান শোভাযাত্রা করে তার ছবি দেখে বিশ্ববাসীর বোঝার উপায় থাকে না এটা বাংলাদেশের, না ভারতীয় উৎসব? কাজেই বাংলাদেশি সংস্কৃতির বিশ্বায়নের কথা বললে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সংস্কৃতি দিয়েই তাকে ব্রান্ডিং করতে হবে। ধুতি-তিলক দেখতে বিশ্ববাসীর বাংলাদেশে আসার প্রয়োজন নেই।
এসব কারণেই বাংলা নববর্ষ পালনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়, সংস্কৃতিক কর্মী ও অভিভাবকবৃন্দ। বাংলাদেশের শতকরা নব্বইভাগ জনগোষ্ঠি মুসলিম। কাজেই এদেশের নববর্ষ উৎসব উৎযাপনের রীতি ও পদ্ধতিতে সেই জনগোষ্ঠির বিশ্বাস ও আচারের প্রতিফলন থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির বরণ ডালায় যেভাবে পৌত্তলিকতাকে মুসলিম সমাজে, পরিবারে ও ব্যক্তি জীবনে অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে তাতেই তারা আপত্তি তুলেছেন। বিশেষ করে এর সাথে বাংলা নববর্ষ উৎযাপনের হাজার বছরের ঐতিহ্যের কোনো সাদৃশ্য না থাকার পরও তা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করানোর জোর চেষ্টাই তাদের আপত্তির মূল কারণ।
ছায়ানট শুরু থেকেই রবীন্দ্র সংস্কৃতির রঙে বাংলাদেশকে সাজাতে চেয়েছে। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে, রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রদর্শন ও সংস্কৃতিক চেতনা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও তার সংস্কৃতিক চেতনা এক নয়। রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রচিন্তা ‘এক মহাভারতের সাগর তীরে’ বিলীন হবার। তাও আবার ‘এক ধর্মরাজ্য’ মহাভারতের রাষ্ট্রভাবনা। বাংলাদেশ বলে আলাদা কোনো রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক সত্ত্বার স্বীকৃতি নেই সেখানে। রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালের ২৫ আগস্ট বঙ্গভঙ্গ নিয়ে আয়োজিত একটি জনসভায় তাঁর ‘অবস্থা ও ব্যবস্থা’ প্রবন্ধটি পাঠ করেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বঙ্গব্যবচ্ছেদের আক্ষেপে আমরা যথাসম্ভব বিলাতি জিনিস কেনা বন্ধ করিয়া দেশী জিনিস কিনিবার জন্য যে সঙ্কল্প করিয়াছি সেই সঙ্কল্পটিকে শুদ্ধভাবে, গভীরভাবে, স্থায়ী মঙ্গলের উপর স্থাপিত করিতে হইবে।--- ইহা দেশের পূজা, ইহা একটি মহান সংকল্পের নিকটে আত্মনিবেদন।’ (রবীন্দ্র রচনাবলী-৩, অবস্থা ও ব্যবস্থা, পৃষ্ঠা-৬৭১ দ্রষ্টব্য)।
বঙ্গভঙ্গের সাতদিন আগে ৯ অক্টোবর ১৯০৫ সালে কোলকাতার বাগবাজারে পশুপতি বসুর বাসভবনে রবীন্দ্রনাথ বিজয়া সম্মিলন নামে এক ভাষণে বলেন, “হে বন্ধুগণ আজ আমাদের বিজয়া সম্মিলনের দিনে হৃদয়কে একবার আমাদের এই বাংলাদেশের সর্বত্র প্রেরণ করো। আজ বাংলাদেশের সমস্ত ছায়াতরুনিবিড় গ্রামগুলির উপর এতক্ষণ যে একাদশীয় চন্দ্রমা জোৎস্ন্যাধারা অজস্ত্র ঢালিয়া দিয়াছে সেই নিস্তব্ধ সূচী রুচির সন্ধ্যাকাশে তোমাদের সম্মিলিত হৃদয়ের ‘বন্দেমাতরম’ গীতধ্বনী একপ্রান্ত হইতে আর এক প্রান্তে পরিব্যাপ্ত হইয়া যাক। একবার করজোড় করিয়া নতশিরে বিশ্বভুবনেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো:
বাংলার মাটি বাংলার জল
বাংলার বায়ু বাংলার ফল
পূণ্য হউক পূণ্য হউক
পূণ্য হউক হে ভগবান।”
(প্রাগুক্ত, বিজয়া সম্মিলন, পৃষ্ঠা-৭৫৯ দ্রষ্টব্য)।
রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতির মূল উপজীব্য হচ্ছে বেদ, পুরাণ, উপনিষদ। বেদ, পুরাণ, উপনিষদের সংস্কৃতি কখনো কোনো মুসলমানের সংস্কৃতি হতে পারে না। তাঁর ধর্মবিশ্বাস যাই-ই থাক কিন্তু তার প্রকাশে তিনি বেদ, পুরাণ ও উপনিষদের চেতনা উপমা, রূপক ও কাহিনী যেভাবে ধার করেছেন তা কোনো মুসলমানের অনুসরণীয় হতে পারে না। রবীন্দ্রনাথের বেদ ও উপনিষদের উপমা ও চেতনা এবং জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রদর্শনের চেতনার বাইরেও রবীন্দ্রনাথের আরো অনেক সৃষ্টি রয়েছে সেগুলো নিয়ে কেউ আপত্তি তোলেনি কখনো।
তবে একথা অনস্বীকার্য যে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ স¤প্রদায়। পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন ইসলামের নির্দেশ। হাজার বছর ধরে এ দেশের হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করে এই সহিষ্ণুতার বিরল নজির স্থাপন করেছে। চৈত্র সংক্রান্তি কিম্বা দুর্গাপূজার মেলায় অনেক বাঙালি মুসলিম তরুণরা অংশ নিয়ে থাকে। কিন্তু চৈত্র সংক্রান্তি বা দুর্গাপূজাকে কোনো দিন তাদের সংস্কৃতি বলে মনে করেনি। একইভাবে মুসলমানদের ঈদের মাঠের রাস্তায় হিন্দুরা মিষ্টির দোকান দিয়ে থাকে, চকবাজার থেকে ইফতারীর স্বাদ তারাও গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু ঈদ বা রমজানকে কেউ তাদের সংস্কৃতি বলে গ্রহণ করেনি। আজও তারা শাখারী বাজার, ইসলামপুরের সাথে পহেলা বৈশাখ বা হালখাতা পালন না করে একদিন পর শত শত মাইল দূরের বাগবাজারের সাথে উদযাপন করে। এর মূল কারণ দুইটি পঞ্জিকা। মোহাম্মাদী পঞ্জিকা ও লোকনাথ পঞ্জিকা। আক্ষরিক অর্থে এ শুধু দুই পঞ্জিকার দ্ব›দ্ব নয়। এর পেছনে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিশ্বাসের দ্ব›দ্ব। বাঙালিত্বের রাখী বেঁধে তাকে এক করার চেষ্টা আজকের মতোই চলছে বহুকাল ধরে।
আমরা চাই বাংলাদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠির লোকেরা নিজ নিজ সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রেখেই একসাথে জাতীয় উৎসবগুলো উদযাপন করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠির বৈসাবি উদযাপনকে পর্যালোচনা করা যেতে পারে। এ তিনটি সম্প্রদায়ই পহেলা বৈশাখকে তাদের নববর্ষ হিসেবে উদযাপন করে। চাকমারা ‘বিজু’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’, ত্রিপুরারা ‘বৈসু’ নামে একইসাথে এ উৎসব উদযাপন করে থাকে। একইসাথে পালনের সুবিধার্থে তারা তিনটি উৎসবের নামের প্রথম বর্ণ নিয়ে ‘বৈসাবি’ উৎসব নামে এক সাথে পালন করে। একই সময়ে সেখানে বসবাসরত বাঙালিরা নববর্ষ পালন করে থাকে। একই লাইনে দাঁড়িয়ে শোভা যাত্রায় শামিল হয়। তবে একই সাথে পালন করলেও উদযাপন রীতি ও আচারে তারা নিজ নিজ সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে থাকে।
ইসলাম ধর্মে শিরক ও পৌত্তলিকতা হারাম। কিন্তু নববর্ষ উদযাপনের নামে বাঙালি সংস্কৃতির বরণ ডালায় শিরক, পৌত্তলিকতা সাজিয়ে, অপসংস্কৃতির নানা পসরা যেভাবে মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বিরোধিতা শুধু সেখানেই। তারা চায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের জাতীয় অনুষ্ঠানে তাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটুক। একথা সত্য যে, সংস্কৃতি একটি প্রবাহমান ধারা। এর আদান-প্রদান খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
প্রশ্ন হচ্ছে, অপসংস্কৃতিক আগ্রাসন নিয়ে এই যে এত কথা বলা হলো তা রোধের উপায় কী? শুধু অপসংস্কৃতিক আগ্রাসন হচ্ছে বলে শোরগোল তুললে, প্রতিবাদ করলে, লেখালেখি করলেই কি তা রোধ করা সম্ভব? প্রকৃতপক্ষে প্রতিবাদ করে, প্রতিরোধ করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সর্বক্ষেত্রে বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সব সময় দৃশ্যমান বা প্রত্যক্ষ হয় না। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে, সুস্থ ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে জোরদার ও জনপ্রিয় করা। এ লক্ষ্যে কার্যকর সচেতনতা, কর্মসূচি ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা। সুস্থ ও দেশীয় সাংস্কৃতিক কর্মসূচি নিজে থেকেই অপসংস্কৃতি ও বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করে দেয়। যেমন, সমুদ্রগামী নদীতে যদি নিজস্ব পানির প্রবাহ অপ্রতুল হয়ে পড়ে তখন সহজেই সেখানে লবণাক্ত পানির প্রবাহ প্রবেশ করে। কিন্তু সে নদীতে নিজস্ব পানির সঠিক প্রবাহ থাকলে তা আপনা আপনি সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্রবেশে বাধা দিয়ে থাকে। প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করা যায় না। কাজেই আমরা যদি পহেলা বৈশাখসহ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবিষ্ট অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করতে চাই, তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে জাতীয় সংস্কৃতির প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে তাদের সামনে অপসংস্কৃতির মুখোশ উন্মোচন করতে হবে, পাশাপাশি সুস্থ ও দেশীয় সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে তাদের জড়িত করতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মীদের, সংগঠকদের খুঁজে বের করতে হবে সেই জাতীয় সংস্কৃতির পথ ও পদ্ধতি। নববর্ষ কীভাবে পালন করলে আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষা পায়, আবার তরুণরা তাদের আনন্দ থেকেও বঞ্চিত না হয় সে রাস্তা তাদের সামনে বের করে দেয়ার দায়িত্ব সংস্কৃতি কর্মী ও সংগঠকদের। সে কর্মসূচি এমন হতে হবে যা তরুণদের কাছে জনপ্রিয়, আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য হবে। এটাও মনে রাখা প্রয়োজন, তারুণ্যই উৎসব, উৎসব তরুণদের জন্য, তরুণরাই উৎসবের প্রাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।