২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আমরা মানুষের জীবনকে কয়েক পর্যায়ে ভাগ করি। যেমন- শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ। এসব স্তরের মধ্যে কৈশোরকাল (১৩-১৯) অত্যন্ত স্পর্শকাতর পর্যায় । এ সময় মা-বাবা অত্যন্ত ধৈর্য্য, সহনশীলতা দিয়ে ও সহানুভূতিশীল হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা না করলে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের বেলায় অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হতে হয় । চিকিৎসকেরা বলেন, এই বয়ঃসন্ধির সমস্যার সমাধান করতে মায়েদের স্নেহমমতা, ভালোবসা, ধৈর্য্য ও সুস্থ মানসিকতার সাথে এগোতে হয়। মেয়ের সাথে মাসিক সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা দিতে হয়, যাতে প্রস্রাব রাস্তায় রক্ত দেখে ভয় না পায়। আতঙ্কিক না হয়। বুঝাতে হয়, এটা কোনো রোগ বা সমস্যা নয়। স্বাভাবিক ব্যাপার। এ সময় তার খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও বিশেষ লক্ষ রাখতে হয়। দৈনিক দুধ, মাখন খেতে দিতে হয়। যাদের বংশগত মোটাসোটা হওয়ার প্রবণতা তাদের ঘি মাখন না দেয়াই শ্রেয়। মাখন তোলা দুধ দেয়া যেতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক। দৈনিক পেট পরিস্কার রাখতে রঙিন শাকসবজি খেতে দেয়া দরকার। অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হয়। খেলাধুলা করতে উৎসাহিত করা উচিত। এ সময় ক্যালসিয়াম ও আয়রন পূরণের জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য খেতে দেয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া মাছ, মাংস, ডিম, টাটকা ফলমূল খেতে দিতে হয়। তবে চর্বিযুক্ত মাংস না দেয়া শ্রেয়। এই সময় হঠাৎ তলপেটে ব্যথা হয়ে মাসিক স্রাব এসে যেতে পারে। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানির ব্যাগ তলপেটের ওপর রাখলে ব্যথা উপশম হয়। বেশি বেশি পানি খেতে বলতে হয়। যদি যথাযথভাবে মাসিক না হয় তাহলে অনতিবিলম্বে একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামেও উপকার হয়। এ সময় মুখে ব্রণ উঠতে পারে। ব্রণ যেমন খোঁটাখুঁটি না হয়। তাহলে বেড়ে যেতে পারে। মুখে বেশী ক্ষারযুক্ত সাবান দেয়া যাবে না। তবে মধু লাগানো যেতে পারে। পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ কমে যায়।
ডা: মাও: লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।