মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সারা পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা চলছেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন আরো দুইজন। হিন্দু ধর্মের উৎসব রাম নবমীকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ওই দাঙ্গায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন পশ্চিম বর্ধমানে, একজন পুরুলিয়াতে ও একজন উত্তর ২৪ পরগণায়। গত বৃহস্পতিবার নিহত একজনের নাম সিবতুল্লাহ। ১৭ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী কয়েকদিন আগেই এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে। আরেকজনের নাম প্রতিমা দেবী (৪৫)। দাঙ্গার মধ্যে মায়ের কোল থেকে দুই মাসের এক শিশুকে টেনে ফেলে দেয়া হয়েছে। শিশুটিকে পরে হাসপাতালে নেয়া হয়। আসানসোলের একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদি। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তার ১৬ বছর বয়সী ছেলের। ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনেকেই প্রতিশোধ নেয়ার নেশায় ছিলেন উত্তেজিত। কিন্তু ছেলের জানাজা নামাজের সময় আসানসোলের এই ইমাম যে মহানুভবতা দেখালেন তা অনন্য নজির স্থাপন করেছে দেশটিতে। জানাজায় অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান ইমাম ইমদাদুল রশিদি। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তার ছেলের খুনের প্রতিশোধ যদি কেউ নিতে চান; তাহলে তিনি এই মসজিদ এমনকি এই শহর ছেড়ে চলে যাবেন।’ চলতি বছরে মাধ্যমিকের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল ইমাম ইমদাদুলের ছেলে সিবতুল্লা রশিদির। গত মঙ্গলবার বিকেলে আসানসোলের রেইল পার এলাকায় সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার নিখোঁজ হয় সিবতুল্লা। তাকে একদল উত্তেজিত জনতা তুলে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। গত বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চেতলাডাঙ্গা নদী পারের নুরানি মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদি (৪৮) বলেন, ‘সে যখন বাইরে যায় তখন বিশৃঙ্খলা চলছিল। একদল দুর্বৃত্ত তাকে তুলে নিয়ে যায়। আমার বড় ছেলে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়, কিন্তু তাকে পুলিশ স্টেশনে দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। পরে আমরা জানতে পারি যে, পুলিশ একজনের লাশ উদ্ধার করেছে। সকালে তার লাশ শনাক্ত করা হয়।’ সিবতুল্লাকে দাফনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজার হাজার মানুষ আসানসোলের ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হন। এসময় রশিদি সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। ‘আমি শান্তি চাই। আমার ছেলে চলে গেছে। আমি চাই না আর কোনো পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারাক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।