পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল কিংবা বাঙ্গাল তো নয়ই, ‘পশ্চিমবঙ্গ’ নামটাও আর থাকছে না। তিনটি ভাষাতেই এ রাজ্যের নাম হতে চলেছে বাংলা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাস হয়। নাম বদলের প্রস্তাব সমর্থন করেছেন সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি বিধায়করাও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই বদলে যাবে এ রাজ্যের নাম। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ রাজ্যের কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে একমাত্র ‘বাংলা’ শব্দটিই মানানসই।
তাই তিন ভাষাতে এ রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নাম বদলের প্রস্তাব সমর্থনের জন্য বিরোধীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিদিন অনলাইনে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশ একটাই। কিন্তু ইংরেজিতে নাম ইন্ডিয়া, আর বাংলাসহ অন্য দেশীয় ভাষায় ‘ভারত’। আমাদের রাজ্যে আবার তিনটি ভাষায় তিনটি আলাদা নাম। বাংলায় পশ্চিমবঙ্গ, হিন্দিতে বাঙ্গাল আর ইংরেজিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল। পালাবদলের পর, একটিই নাম তিনটি ভাষায় তিনরকম রাখতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছিল বিধানসভায়। সরকারের প্রস্তাব ছিল, এ রাজ্যে নাম হবে ‘বাংলা’। হিন্দিতে ‘বঙ্গাল’ আর ইংরেজি ‘বেঙ্গল’। সেই প্রস্তাবও পাশ হয়ে গিয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু, শেষপর্যন্ত প্রস্তাব আর কার্যকর হয়নি। আজবৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি নিজে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথের সিংহের সঙ্গে রাজ্যের নাম বদল নিয়ে কথাও বলেছিলেন।
দিন কয়েক আগে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে তিনটি ভাষায় একটি নাম রাখার প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। সেই প্রস্তাব মেনেই রাজ্যের নাম বাংলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল বিধানসভা মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নাম বদলের প্রস্তাব পেশ করেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়ে যায় প্রস্তাব। প্রস্তাব সমর্থন করেন কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি বিধায়ক। এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই এ রাজ্যের নাম হবে ‘বাংলা’। রাজ্যের নাম বদল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে নামবদলের প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য বিরোধীদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।