গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চন্দ্রা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ‘মৌমিতা’ বাসের স্টাফের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। বুধবার রাতে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত রায়হান উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সর্বশেষ তথ্যমতে তিনি রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী রায়হান রাজধানীর শ্যামলী থেকে ‘মৌমিতা’ নামক বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল সংলগ্ন নিমতলী গেটে নামতে চাইলে তাকে জোরপূর্বক চাঁনখারপুলে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ওই বাসের স্টাফ। সে ওই স্থানে নামতে না চাইলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাসের দুই স্টাফ মিলে তাকে উপর্যুপরি মারধর করে। হামলায় তার শরীর থেকে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। পরে তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চিকিৎসকরা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখান থেকে আবার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
হামলায় তার ডান হাতের দুটি শিরা ছিড়ে গেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। তিনি আরো জানান, হামলায় তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। তার হাতে ১৪টি সেলাই লেগেছে। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত আছেন।
এ বিষয়ে হামলার শিকার রায়হান বলেন, আমি আমার গন্তব্যে নামার সময় কথা কাটাকাটি করার একপর্যায়ে বাসের কয়েকজন স্টাফ মিলে আমার বাবা-মাকে উদ্দেশ করে কটুক্তি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেনো অভিযোগ পাইনি। তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।