নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথমবারের মত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে নিজেদের নাম লেখালো খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। উত্তেজনাকর ম্যাচে গতকাল তারা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারায় ২ উইকেটে। শেষ বলে খেলাঘরের দরকার ছিল ৩ রান। অলরাউন্ডার মাসুম খান দেলোয়ার হোসেনের সেই বলকে করেন বাউন্ডারিছাড়া। ২৩ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করেন মাসুম।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৬২ রানের লক্ষ্যে ২৩ রানে ২ উইকেট হারায় খেলাঘর। ৭৪ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন রাফসান আল মাহমুদ ও অমিত মজুমদার। ৭১ রানে দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হওয়ার আগে চতুর্থ উইকেটে অশোক মেনারিয়ার সঙ্গে আরো ৭৯ রান যোগ করেন অমিত। ৯৯ বলের ইনিংসে ৭টি বাইন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরাও হন তিনি।
এর আগে আল আমিনের সেঞ্চুরিপ্রায় ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। ৯৬ বলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় ৯৪ রানের পথে তৃতীয় উইকেটে মেহরব হোসেন জুনিয়রের সঙ্গে ৮৫ ও চতুর্থ উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন আল আমিন।
এই দিনে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। যে পর্ব আগেই নিশ্চিত করে রাখে আবাহনী লিমিটেড, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও প্রাইম দোলেশ্বর। আগামিকালের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারাতে পারলে ষষ্ঠ দল হিসাবে পরের পর্বে নাম লেখাবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। যদি তারা হেরে যায় তাহলে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে সুপার লিগে উঠে যাবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর যদি মোহামেডান ও ধানমন্ডি দুই দলই হেরে যায় তাহলে শেষ ছয়ে উঠে যাবে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
মিরপুরে ফাওয়াদ আলম ও মেহেদী হাসানের অল রাউন্ডার ফারফর্ম্যান্সে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৪ উইকেটে হারায় গাজী গ্রæপ। ৯ উইকেটে দোলেশ্বরের ১৮৬ রানের ইনিংসে তিন উইকেট নেন আলম, টিপু সুলতান নেন দুটি। ১০ ওভারে মাত্র ১৭ রানের খরচায় এক উইকেট নেন মেহেদী। দোলেশ্বরের সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ফজল মাহমুদ। জবাবে মেহেদীর ৫৩ বলে ৫৯ ও আলমের ৪৬ রানের উপর ভর করে ৩৮.৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌছে যায় গাজী। ৩৪ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি পাকিস্তানি অলরাউন্ডার জোহাইব খান।
এদিকে ফতুল্লায় নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে শাইনপুকুরকে ৫৬ রানে হারায় আবাহনী। শান্তর অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ৩৩৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে আবাহনী। আসরে যা যৌথ সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। ১২০ বলের ইনিংসে সমান নয়টি করে ছক্কা ও চার হাঁকান শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে যোগ করেন ১৮৫ রান। ১১৪ বলে সাতটি চার ও ছয় ছক্কায় ৯৪ রান করেন তারই একসময়ের যুবাদলের সতীর্থ সাইফ।
ফারদিন হাসান ও সাদমান ইসলামের ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শাইনপুকুরের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। সাদমান ৫৬ রানে আউট হলেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারদিন। দ্বিতীয় উইকেটে আবার তৌহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ১১৩ রানের জুটি গড়েন ফারদিন। হৃদয় ৭২ বলে করেন ৮৩ রান। নয় চার ও দুই ছক্কায় ১০৪ রান করে সেচ্ছা অবসর নেন ফারদিন। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ছোট্ট একটি ঝড়ের, যা তারা তুলতে পারেনি। ৭ উইকেট হাতে রেখেও তাই তাদের হার মানতে হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দোলেশ্বর-গাজী গ্রুপ
প্রাইম দোলেশ্বর : ৫০ ওভারে ১৮৬/৯ (মাহমুদ ৬৫, মার্শাল ২৮; মেহেদি ১/১৭, টিপু ২/৩৩, রাব্বি ১/২৬, নাঈম ১/৩৬, ফাওয়াদ ৩/৩৯)। গাজী গ্রুপ : ৩৮.৫ ওভারে ১৮৯/৬ (মেহেদি ৫৯, ফাওয়াদ ৪৬, জাকের ৩১*; জোহাইব ৫/৩৪, ফরহাদ ১/১৭)। ফল : গাজী গ্রুপ ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : মেহেদি হাসান (গাজী গ্রুপ)।
প্রাইম ব্যাংক-খেলাঘর
প্রাইম ব্যাংক : ৪৯.৫ ওভারে ২৬১ (মেহেরাব ৩৭, আল আমিন ৯৪, নাহিদুল ২৮; রবিউল ২/২৫, তানভির ৩/২৮, সাদ্দাম ৪/৫৮, মাসুম ১/২১)। খেলাঘর : ৫০ ওভারে ২৬৩/৮ (অমিত ৭১, রাফসান ৪০, মেনারিয়া ৬৩, মাসুম ৩৬*; এনামুল ১/২৭, নাহিদুল ১/২৪, শরিফুল ৪/৫০)। ফল : খেলাঘর ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : অমিত মজুমদার (খেলাঘর)।
আবাহনী-শাইনপুকুর
আবাহনী : ৫০ ওভারে ৩৩৫/৪ (সাইফ ৯৪, শান্ত ১৫০*, নাসির ৪৫; সাইফ ২/৫০, নাঈম জুনি. ২/৭৩)। শাইনপুকুর : ৫০ ওভারে ২৭৯/৩ (ফারদিন ১০৪* আহত অবসর, সাদমান ৫৬, হৃদয় ৮৩; মাশরাফি ২/৩৫, নাসির ১/৩৪)।
ফল : আবাহনী ৫৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নাজমুল হোসেন শান্ত (আবাহনী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।