২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
গাউট পরিচিত একটি জোড়া বা গিঁটের অসুখ। এটিকে গিঁটে বাতও বলে। এটি পুরুষ মহিলা উভয়েরই হতে পারে। একিউট গাউট খুব কষ্টদায়ক। প্রচন্ড ব্যথা হয়। রোগী গিঁটের ব্যথায় অস্থির হয়ে উঠে।
একিউট গাউটের চিকিৎসায় ঘঝঅওউ ব্যবহার করা হয়। এই গ্রুপের অনেক ওষুধ আছে। তার মধ্যে ন্যাপ্রোক্সেন বেশ ভাল কাজ করে। ভাল আরও কিছু ওষুধ আছে সেগুলোও বেশ কার্যকর। তবে এসব ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ঘঝঅওউ গ্রহণ করলে পেপটিক আলসার হতে পারে। তখন ভীষণ ভোগান্তি হয়। পেটব্যথা হয়। অস্বস্থি লাগে। বমিভাব হয়। বমিও হতে পারে। কখনো কখনো ডায়রিয়াও হতে পারে। ঘঝঅওউ বেশী খেলে কিডনীও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দীঘদিন ঘঝঅওউ খেলে ক্রনিক কিডনী ডিজিজ হতে পারে। আবার কয়েকদিনের জন্য খেলেও কিন্তু কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।
একিউট বা তীব্র গাউটের চিকিৎসা কলচিসিন বেশ ভাল ওষুধ। ওষুধটি ভাল কাজ করে। তবে এটি খেলে পেটব্যথা, ডায়রিয়া, বমি হতে পারে। চামড়াতেও সমস্যা হয়।
একিউট গাউটের সবচেয়ে কাযকরী চিকিৎসা জয়েন্ট থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে ফ্লুইড বা রস বের করে সেখানে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেয়া। তবে অনেক জয়েন্টে হলে এটি সম্ভব নয়। গাউট হলে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে ইউরেট মনোহাইড্রেট ক্রিস্টাল জমা হয়।
জয়েন্ট স্টেরয়েড দিলে রোগী খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। কষ্ট কমে যায়। রোগী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। এলোপিউরিনল নামক এক ওষুধ গাউটের চিকিৎসায় ইউরিক এসিড কমাতে ব্যবহৃত হয়। তবে তীব্র বা একিউট গাউটে এটি দেয়া ঠিক নয়। তাহলে উপসর্গ আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রেই সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতই ওষুধ সেবন করা উচিত।
-ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।