Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমান হামলা অব্যাহত

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়া ও রুশ বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইস্টার্ন ঘৌতা অঞ্চলে বৃহস্পতিবারও সামরিক অভিযান চালিয়েছে। সেখানে বিদ্রোহীদের চাপের মুখে রাখতে তারা এ অভিযান চালায়। সিরীয় বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বলেছে, বৃহস্পতিবার ইস্টার্ন ঘৌটার কয়েকটি স্থানে বোমা নিক্ষেপ করে সরকারি বাহিনী। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো প্রায় ডজনখানেক মানুষ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর মুখপাত্র ফায়েজ ওরাবি পাঁচ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস বলেছে, নিহতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। স্থানীয় এক মানবাধিকারকর্মী জানিয়েছেন, হামলা বন্ধ হওয়ার খবরকে ইস্টার্ন ঘৌতার মানুষ উপহাস মনে করে। তারা এক সেকেন্ডের জন্যও এই খবর বিশ্বাস করে না। হামলা বন্ধ হওয়ায় সরকার তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। সিরিয়া সরকার বা রাশিয়া, কোনো পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করতে চায় না। খবরে বলা হয়, সেখানে বিতর্কিত একতরফা যুদ্ধবিরতির কারণে মানবিক ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। হামলার কারণে ত্রাণ ভর্তি ৪০টিরও বেশী ট্রাক অবরুদ্ধ চার লাখ লোকের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে অস্ত্রবিরতি দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ নতুন করে আহবান জানিয়েছে। এদিকে মস্কো দিনে পাঁচ ঘণ্টা অস্ত্রবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়ায় বোমাবর্ষণ অনেকটা কমে এসেছে। এর আগে মাত্র কয়েকদিনের বোমাবর্ষণে কয়েকশ’ লোক নিহত হয়। এতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চল বেসামরিক লোকজনকে চলে যাওয়ার সুযোগ দিতে রাশিয়ার প্রস্তাবিত একটি করিডোর ব্যবস্থা তৃতীয় দিনের মতো উম্মুক্ত রাখলেও আপাতদৃষ্টিতে তেমন লোককে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে না। সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের মানবিক টাস্কফোর্সের প্রদান জ্যান ইগেল্যান্ড জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইস্টার্ন ঘৌতায় ত্রাণভর্তি গাড়ি বহর প্রবেশ করতে পারে বলে তিনি আশা করছেন। ২০১৩ সাল থেকে এই অঞ্চল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই বছরে সরকার বিরোধীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু আসাদ বলপ্রয়োগ করে এই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেন। পরে বিরোধীরা সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০১৫ সালে রাশিয়ার সহায়তায় আসাদ সরকার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরগুলো পুনর্দখল করতে শুরু করে। তবে ইস্টার্ন ঘৌতা এখনো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। সিরিয়ার সরকার ও রুশ বাহিনী অঞ্চলটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও পৌঁছতে দেয়া হচ্ছে না। এএফপি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ