Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিই জনগণের প্রধান সমস্যা

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

যদি বলা যায়, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা কী? বিনা দ্বিধায় জবাব আসবে গণতন্ত্র না থাকা। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি স্বীকৃত তার মধ্যে গণতন্ত্রই কাগজে-কলমে সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অন্য তিনটি মূলনীতি সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ সরকারভেদে মাঝে মাঝে পরিবর্তন বা সংশোধনের শিকার হলেও গণতন্ত্রের পায়ে আঁচড় কাটতে সাহস পায়নি কোন সরকারই; গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের একচেটিয়া সমর্থনের ভয়ে। অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয়, দেশের জনগণের এরূপ একচেটিয়া সমর্থন লাভে ধন্য গণতন্ত্রই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছে বাস্তব ক্ষেত্রে।
গণতন্ত্রের প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের এই অসাধারণ দুর্বলতার কারণও ছিল। পাকিস্তান আমলে সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের প্রবল প্রভাব থাকায় বাস্তব ক্ষেত্রে গণতন্ত্র কখনো যথাযথ বিকাশ লাভ করতে পারেনি। একারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সব সময়ই গণতন্ত্র সর্বাধিক গুরুত্ব লাভ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর এ কারণেই জনগণের মধ্যে স্বপ্ন সৃষ্টি হয়েছিল এ নতুন রাষ্ট্রে গণতন্ত্র সর্বাধিক গুরুত্ব লাভ করুক। কিন্তু দুঃখের বিষয় জনগণের সে স্বপ্নের আলোকে গণতন্ত্র চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব লাভ করলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন পড়েনি বহুদিন ধরে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একমাত্র একটি সরকারি দল রেখে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়।
পরবর্তীকালে বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও এক পর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তখন সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ঐ সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন দিয়ে বসেন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এই অসাধারণ পদক্ষেপ সম্ভবপর হয় হয়তো এই বিবেচনায় যে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া নির্বাচিত দলটি ছিল নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। এতে প্রমাণিত হয় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাইতেও আওয়ামী লীগের কাছে অধিক সমর্থনযোগ্য বিবেচিত হয়েছিল সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেলের শাসন। বলা বাহুল্য এটা দেশে গণতন্ত্র জোরদার করার লক্ষ্যে মোটেই সহায়ক পদক্ষেপ ছিল না।
দেশের রাজনৈতিক সচেতন জনগণের স্মরণ থাকার কথা, এর পর শুরু হয় জেনারেল এরশাদের সুদীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসন। পাশাপাশি চলতে থাকে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের স্বৈরতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ বহুদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন থেকে দূরে থাকে। সেই পটভূমিতে বিএনপি নেত্রী রাজনীতিক্ষেত্রে নবাগতা বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনে একটানা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে আপোসহীন নেত্রী হিসেবে বিশাল সুনাম অর্জন করে ফেলেন। তার এই জনপ্রিয়তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় দেশে সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এরশাদ আমলের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে। নির্বাচন যাতে অবাধ নিরপেক্ষ হয় সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের এই প্রধান দুই দলই তদানীন্তন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে একমত হয়।
যেমনটি আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যান্ত অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে কেউ যেন এর মধ্যে আবার ‘কারচুপি’ আবিষ্কার না করে। নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে জানা গেল আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিএনপি
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে নতুন সরকার গঠন করলেন, আর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা হলেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী। বেগম খালেদা জিয়ার মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন উঠলে প্রধানত বিরোধী দলীয় নেত্রীর দাবির মুখেই নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের বিধান সংবিধানে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই যে গণতন্ত্রের নিরিখে সর্বাধিক উপযোগী তা প্রমাণিত হওয়ায় এ বিধান মোতাবেক দেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তার ফলে দেশের দুই প্রধান দলই পর পর নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে।
দুর্ভাগ্যবশত অতিরিক্ত ক্ষমতা-ক্ষুধা এক পর্যায়ে এই সুন্দর ব্যবস্থাকে পচিয়ে ফেলে। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বদলে নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিলে অতীতের সমঝোতা লংঘনের অভিযোগে সেই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় বিএনপি
দেশের দুটি প্রধান দলের একটি নির্বাচনের বয়কটের ঘোষণা দিলে সে নির্বাচন বাস্তবে হয়ে পড়ে একটি নির্বাচনী প্রহসন। বিরোধী দল তো দূরে থাক, সরকারি দলের অনেক নেতাকর্মীও ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তারা ভোটকেন্দ্রে না গেলেও দলের পক্ষ থেকে তাদের ভোট দানের ব্যবস্থা ঠিকই করা হবে। বাস্তবে হয়ও সেটাই। ভোটকেন্দ্রে বিরোধী দলের কোন লোক না থাকায় অল্পসংখ্যক সরকারি দলের নেতাকর্মী সরকারি দলের প্রার্থীদের সপক্ষে ব্যালটপত্রে ইচ্ছামত সিল মেরে সরকারি দলের প্রার্থীদের স্বপক্ষে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা অবিশ্বাস্যভাবে বাড়িয়ে তোলার সুযোগ গ্রহণ করেন। অথচ ভোটদানের নির্দিষ্ট সময় অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র ছিল ফাঁকা।
এতো ছিল যেসব কেন্দ্রে ভোটের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে তার কথা। জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা (৩০০)-এর অধিকাংশ ১৫৩ আসনে তো এই ভোট মহড়ারও প্রয়োজন পড়েনি। সেখানে সরকারি প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় সেই ১৫৩ আসনে সরকারি দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়ে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অমোচনীয় কলংকের অধ্যায় যোগ করেন। এ কারণে এই নির্বাচনকে জনগণ ভোটারবিহীন নির্বাচন বলে আখ্যা দেয়।
তবে দেশের মানুষের মধ্যে ভোট দান বা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের কোনো আগ্রহ নেইÑ এমনটাও সত্য নয়। অতীতের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নির্বাচনের দিন জনগণ সকল কাজ ফেলে রেখে ভোর বেলায়ই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটা এখন অতীত ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে ভোটের দিনের সে আমেজ জনগণের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দানের সে উৎসাহ এখন নেই বললেই চলে। এখন চেষ্টা চলে জনগণের স্বাধীন ভোট দানের আগ্রহকে পাশ কাটিয়ে সরকারি দলের প্রার্থীদের ছলে বলে কৌশলে নির্বাচিত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে। এর ফলে না আছে জনগণের নির্বাচনে অংশগ্রহণের আন্তরিক আগ্রহ, না আছে প্রার্থীদের জনগণের কাছে যাওয়ার আগ্রহ ও প্রয়োজন। এখন প্রয়োজন পড়ে শুধু দলীয় নেতানেত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
অথচ আমাদের সরকারি নেতানেত্রীদের দাবি এই যে, দেশে গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে এবং তারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ চালনা করছেন। দেশে গণতন্ত্র কতটুকু চালু আছে তা দেখা যায় জাতীয় সংসদের দিকে তাকালে। গণতন্ত্রের মূল কথাÑ এটা এমন এক ব্যবস্থা, যা নির্ভর করে সরকারি দল ও বিরোধী দলের যুগপৎ উপস্থিতির উপর এবং পরস্পর বিরোধী হওয়া সত্তে¡ও তাদের পরস্পর পরস্পরের উপর আস্থা থাকার উপর। তবে আমাদের জাতীয় সংসদে একজন বিরোধী দলীয় নেত্রী (রওশন এরশাদ) রয়েছেন, যিনি সংসদে তার প্রথম ভাষণেই সরকারি দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য জ্ঞাপন করেন। তাঁর আর এক পরিচয় হচ্ছে তাঁর স্বামী প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি।
বর্তমান জাতীয় সংসদ এমন এক নির্বাচনের ফল, যাকে জনগণ আখ্যা দিয়েছিল ভোটারহীন নির্বাচন। দেশের দুই প্রধান দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্যতম একটি (বিএনপি) কর্তৃক এ নির্বাচন বর্জিত হয় সরকারি দল কর্তৃক দুই প্রধান দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত অতীতের সমঝোতা লংঘনের অভিযোগে। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি কর্তৃক বর্জন সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হয় তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। সংসদে তিনি এ সম্পর্কে যা বলেন তাতে মনে হয় এতে তিনি খুশীই হয়েছেন। সংসদে তিনি এ বিষয়ে বলেন যে বিএনপি নির্বাচন না করায় এক হিসেবে ভালই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তি খেউর শুনতে হচ্ছে না। এতে প্রমাণিত হয় সংসদে তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা কেউ করুক এটা দেখতে তাঁর পছন্দ নয়। অথচ গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে নিজের বিশ্বাসের পাশাপাশি বিপরীত বিশ্বাসের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল থাকা। এই মূল বৈশিষ্ট্যেই যার বিশ্বাস নেই তিনি কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হতে পারেন না। গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসের জন্য বিরোধী বক্তব্যে শ্রদ্ধা থাকা অপরিহার্য। কারণ মানুষ মাত্রই দোষে-গুণে মিলে তার অবস্থান।
মানুষ সাধারণত তার নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারে না। তার নিজের ভুল সংশোধনের জন্য এ কারণেই বিরোধী দল বা ব্যক্তির বক্তব্য জানতে চাওয়া তার নিজের মঙ্গলের জন্যই অপরিহার্য। নইলে তাঁর দ্বারা ভুল সংঘটিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে যিনি রাষ্ট্রের যত বড় দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর দ্বারা রাষ্ট্রের তত বড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। এ কারণেই আন্তঃব্যক্তি সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য, তেমনি আন্তঃদলীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকারি ও বিরোধী দলীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও একটা সম্পর্ক অপরিহার্য।
অবশ্য সে ক্ষেত্রেও একটা সাবধনতা অবশ্য পালনীয়। সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই সম্পর্ক হবে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে পরস্পর সহযোগিতার পরিবর্তে যদি কোন বিরোধী দল সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে, তবে তার দ্বারা জাতির কোন কল্যাণ হয় না, জাতির কল্যাণের পরিবর্তে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ হাসিল করতে চাইলে তার দ্বারা জাতির কোন কল্যাণ তো সাধিত হয়ই না, বরং সরকারের কাছে সে সহজলভ্য করে ফেলে এবং জাতির ও জনগণের কাছেও নিজেকে সে মূল্যহীন করে ফেলে। সুতরাং জাতির কল্যাণই হোক আমাদের সকলের প্রধান লক্ষ্য।



 

Show all comments
  • Nur ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৮:২৯ এএম says : 0
    All right .now repoblic nothing if too talk it .এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply
  • Fahim Hasan Rubel ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৫৬ পিএম says : 0
    yes
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন