মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সফরকালে নয়া দিল্লি ও তেহরানের মধ্যে যেসব চুক্তি হয় তার একটি হলো ইরানের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত কৌশলগত চাবাহার বন্দরের একটি অংশ পরিচালনার ভার ১৮ মাসের জন্য ভারতের হাতে ছেড়ে দেয়া। পাকিস্তানে চীনা নির্মিত গোয়াদর বন্দর থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৮৫ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরান, আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় গমনের একটি ট্রানজিট রুট তৈরি করবে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর পাশাপাশি আফগানিস্তানের বাজারে প্রবেশের জন্য ভারত মরিয়া হয়ে চাবাহার বন্দর উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করতে পারেন এই আশঙ্কায় উন্নয়ন কাজ তেমন এগুচ্ছে না। লিজ চুক্তি অনুযায়ী চাবাহার বন্দরের- ফেজ-১-এর পরিচালনতাগত নিয়ন্ত্রণ পাবে ভারত। ১৭ ফেব্রæয়ারি এই চুক্তি সইয়ের পর নয়া দিল্লিতে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও সম্পর্ক স¤প্রসারণ করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাবাহার-জাহেদান রেল সংযোগ নির্মাণের পক্ষে। এতে চাবাহারের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাবে। আমরা কানেকটিভিটি স¤প্রসারণ এবং জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।
আফগানিস্তানে শান্তি
যুদ্ধ-কবলিত আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ইরানের প্রেসিডেন্ট।
নয়াদিল্লিতে রুহানির তিন দিন সফরের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধশালী ও বহুজাতিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মোদি বলেন, যেসব শক্তি সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, অবৈধ মাদক চোরাচালান, সাইবারক্রাইম ও অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিস্তার রোধ করতে আমরা আমাদের অভিন্ন স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অঞ্চল ও বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত দেখতে চাই। তবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত আফগানিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবেন কিনা সে বিষয়ে দু’নেতার কেউই কিছু বলেননি। তারা পাকিস্তানের নামও উল্লেখ করেননি। বর্তমান কাবুল সরকারের ঘনিষ্ঠ সমর্থক ভারত। ২০০১ সালে দেশটির ক্ষমতা থেকে তালেবানরা বিদায় নেয়ার পর সেখানে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নয়া দিল্লি। ভারত ইরানি তেল ও গ্যাসেরও গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দেশটির সঙ্গে ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক রক্ষা করে গেছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।