রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে মো: হায়দার আলী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ব্যাপক নজরদারী, সহযোগিতায় গত ৬ বছরে পবাদিপশু, হাঁসÑমুরগী, কবুতরের সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন হয়েছেন। শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা, গৃহবধু, কৃষক, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিত, স্বাস্থ্যসন্মতভাবে গবাদিপশু পালন, মোটাতাজাকরণে দিকে ঝুকে পড়েছেন।
উপজেলার গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাঁকনহাট পৌরসভা, মাটিকাটা, চর আষাড়িয়াদহ, গোগ্রাম, মোহনপুর, দেওপাড়া, পাকড়ী, গোদাগাড়ী ও রিশিকুল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেশী ও শংকর (উন্নত) জাতের গবাদিপশু পালন করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার আয়াতন ১৮৪ দশমিক ৮৭ বর্গমাইল। আবাদি জমির পরিমান ৩৫ লাখ ৭শ হেক্টর, বø¬¬কের সংখ্যা ২৭ টি, মৌজার সংখ্যা ৩শ ৯৪ টি, গ্রাম ৪শ ৩০টি, লোক সংখ্যা ৩লাখ ৩৮ হাজার, ৫৫ জন (প্রায়), পুরুষ ১লাখ, ৬৫ হাজার ৬৬জন এবং মহিলা ১ লাখ ৭২ হাজার ৯শ ৮৯ জন। শিক্ষার হার ৫২ দশমিক ২৭ ভাগ।
কৃষক পরিবারের সংখ্যা ৭২ হাজার ২শ ৮০ জন। ২০০৯Ñ২০১০ অর্থবছরে গোদাগাড়ীতে গরু ছিল ৫৭ হাজার ২শ ৬১টি, মহিষ ৬ হাজার ৯শ ৮২টি, ছাগল ৫০ হাজার ৯শ ৯৩টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬শ ৬১টি, মোরগÑমুরগী ১লাখ ২ হাজার ৫শ ২০টি, পাতি হাঁস ২১হাজার ৫শ ৬০টি, রাজহাঁস ৫হাজার ৯শ টি, কবুতর ৬ হাজার ৪শ ৪০টি। গবাদি পশুর চামড়া ১৫ হাজার ৭৩ পিস, কৃত্রিম প্রজনন ৪ হাজার ৯শ ৬৬টি ২০১৫Ñ২০১৬ অর্থ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে গরু ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬শ ২৫টি, মহিষ ১৩ হাজার ৪শ ২৫টি, ছাগল ২লাখ ১৫ হাজার ৯শ ৯টি, ভেড়া ১৭ হাজার ৬শ ১১টি, মোরগÑমুরগী ৩ লাখ ৬৬ হাজার ১শ ৫৯টি, পাতি হাঁস ৪৮হাজার ৫২টি, রাজহাঁস ১২হাজার ২শ, ২২ টি, কবুতর ১৪ হাজার ৭শ ২০টি। এদিকে ২০০৯Ñ২০১০ এ দুধ মাংশ ও ডিম পাওয়া যেত দুধ দশমিক শূন্য ৪ লাখ মেট্রিক টন, মাংশ দশমিক শূন্য ২৭ লাখ মেট্রিক টন, ডিম দশমিক শূন্য ২৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৪ Ñ২০১৫ তে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুধ দশমিক শূন্য ১৯ লাখ মেট্রিক টন, মাংশ দশমিক শূন্য ১০৬ লাখ মেট্রিক টন, ডিম ২ দশমিক ৭ শূন্য লাখ মেট্রিক টন। এসব গবাদি পশু থেকে চামড়া পাওয়া গেছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪শ ৪০ টি, কৃত্রিম প্রজনন ৯ হাজার ৭৫টি। গোদাগাড়ীর বিভিন্ন গাভী ও ছাগল খামারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো: সাইফুল ইসলামসহ অফিসের কর্মকর্তা খুবই আন্তরিক, তারা মাঠ পর্যয়ে গিয়ে পরামার্শ উপদেশ দেন এমন কি অফিসে গিয়েও আমরা ভাল সহযৌগীতা পাই বলেই আমরা দিন দিন খামারে উন্নতি করচ্ছি।
বর্তমানে গাভীর ৯৬টি, ছাগলের খামার ৮১ টি, ভেডার খামার ৬৯ টি, হাঁসের খামার ১৮টি, লেয়ার মুরগীর খামার ৪ টি, ব্রয়লার মুরগীর খামার ৮০ টি, কবুতরের খামার ৭টি, পোল্ট্রি হ্যাচারী ১টি, মহিষ খামার ৭৮ টি রয়েছে। প্রত্যেকটি খামারে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করি, তারও আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, যথাসময়ে ব্যবস্থা পত্র, পরামার্শ প্রদান করা হয়ে থকে দিন দিন গবাদিপশু পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে খামারীরা লাভবান হচ্ছেন। দেওপাড়া ইউনিয়নের গবাদিপশু পালনকারী আজিজার রহমান জানান, আমার বাড়ী ১৭টি ষাড় আছে বছরে ৩ বার পরিবর্তন করে মাসে খাবার, লেবার ও অণ্যাণ্য খরচ বাদ দিয়ে ২০ হাজার টাকা আয় হয়, গরু মোটা তাজা করণ করার বিষয়টি বেকার যুব সমাজসহ বিভিন্ন বয়সের মাঝে বেশ জন প্রিয় হয়েছে। রাজাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো: মতিয়ার রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ঈদ মৌসুমে ৪টি গরু বিক্রি করে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। স্বল্প সময়ে বেশী লাভ হাওয়ায় গরু মোটা তাজা করার প্রকল্পটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে গ্রামে ঙ্গ পশু হলেও পলন করা চেষ্টা করছেন। গোদাগাড়ী প্রাণিসম্পদ অফিস কমিনিটি ক্লিনিকের মত ইউনিয়ন পর্যায়ে স¤প্রসারণ, লোকবল বৃদ্ধি, যানবাহনের সুবিধা বাড়ালে প্রাণিসম্পদ সেক্টরে আরও উন্নয়ন সম্ভব। চাহিদা পূরণে চেষ্টা করা হচ্ছে ঘাটতি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো: সাইফুল ইসলাম জানান, পূর্বে এ উপজেলায় ১০ হাজার ২শ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ৬শ ৫৫ জনে। প্রণিসম্পদের আর্থিক মূল্যমান ছিল ৮শ ৩০ দশমিক ২৩ কোটি টাকা বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩শ ২০ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা, তিনি আরও বলেন, নিরাপদ গোÑমাংশ উ্যপাদনে গরু হৃষ্টকরণ (মোটাতাজা করণ) প্রক্রিয়াটি বেশ সাড়া পড়েছে সুস্থ্য, সবল ও বাড়ন্ত গরুকে এশটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় এবং সুষম খাদ্য সরবরাহ করলে শরীরে অধিক পরিমান মাংশ বৃদ্ধি পায়, ফলে স্বল্প পূজিতে কম সময়ে অধিক লাভ হয়, দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূর হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।